নবমীর হোমের ছাই বাড়িতে আনা ভাল। এদিন ন’মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে ভাল হবে আপনার। শাস্ত্র মতে দেবী পক্ষের নবমী পুজোর দিন এমন একাধিক উপাচার পালন করলে দেবীর কৃপা পাবেন আপনি, সংসারে আসবে সমৃদ্ধি। কী সেই উপাচারগুলি? আসুন শুনে নিই।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব আনন্দের যেমন, তেমনই তা আরাধনারও সময়। তাই ষষ্টী থেকে দশমী অবধি মণ্ডপে মণ্ডপে চলে মহাপূজা। আমরা ভক্তরা দেবী প্রণাম করি প্রতিদিনই। মায়ের কাছে কামনা করি, মা যেন আমাদের সকল দুঃখ-কষ্টের অবসান ঘটান। এছাড়াও মায়ের কৃপা সারা বছর পেতে নবমীর দিন কিছু নির্দিষ্ট উপাচার পালনের কথা বলা আছে শাস্ত্রে। এমন কিছু নিয়ম, যা পালন করলে দেবী দুর্গা সন্তুষ্ট হন।
যেমন, দেবীপক্ষের নবমীর দিনে ন’মুখী রুদ্রাক্ষ মায়ের চরণে স্পর্শ করিয়ে ধারণ করলে ভাল ফল মেলে। নবমীর পুজোর সময় যে হোম করা হয়, সেই হোমের ছাই বাড়িতে আনুন। একটি ছোট মাটির ঘটে ভরে তা বাড়ির যে কোনও পবিত্র স্থানে রেখে দিন। সংসারে শুভ হবে। অষ্টমীর অঞ্জলি তো সুপরিচিত। নবমীর দিনও অঞ্জলি দেওয়া যেতে পারে। আর এদিন অঞ্জলি দেওয়ার সময় অপরাজিতা এবং পদ্ম ফুল ব্যবহার করুন। মায়ের কৃপা পাবেন।
আরও শুনুন: ‘কলাবউ’ কি গণেশের স্ত্রী? দুর্গাপুজোয় নবপত্রিকার মাহাত্ম্য কোথায়?
নবমীর দিন বাড়িতে কিনে আনতে পারেন একটি শঙ্খ। নবমী বা দেবীপক্ষ চলাকালীন যে কোনও দিনেই বাড়িতে শঙ্খ কিনে আনা শুভ বলে মনে করা হয়। নবমীর দিন পাঁচটি গোলাপ পাপড়ির দুই পাশে মধু মাখিয়ে দেবী দুর্গার সামনে রেখে আসুন। শুভ ফল পাবেন। বলছে শাস্ত্র। মনে করা হয়, দেবীপক্ষ চলাকালীন কালো কাপড়ে মুড়ে কিছুটা ফিটকিরি বিছানার নিচে রাখা হলে শুভ যোগ বাড়ে।
নবমীর দিন হলুদ রঙের সুতো মায়ের চরণে ছুঁইয়ে সেই সুতোকে ন’পাকে হাতে বাঁধুন। জীবনে প্রসন্ন সময় আসবে। নবমীর দিন মায়ের কাছে ন’রকম ফুল, ফল ও মিষ্টি অর্পণ করুন। আপনার ও সংসারের ভাল হবে। এই দিনে মায়ের কাছে ১০৮টি বেলপাতা অর্পণ করুন।
আরও শুনুন: উৎসব সবার… দুর্গাপুজোকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কী নামে ডাকা হয় জানেন?
উৎসব তো আছেই। আনন্দও করবেন। সেই সঙ্গে মহা নবমীর দিনে এই উপাচারগুলি পালন করলে মায়ের কৃপায় আপনার আগামী জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে।