মহরমের উদযাপনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক বিষাদঘন আখ্যান। সেই বিষাদসিন্ধু ঘনিয়ে উঠেছিল মীর মোশারফ হোসেনের মরমী লেখনীতে। বাংলা সাহিত্যের এ এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। ইতিহাস আর কল্পনা যেখানে হাত ধরাধরি করে দিয়েছে মহাকাব্যিক বিস্তার ও ব্যঞ্জনা। সেই বিষাদসিন্ধুর উপক্রমণিকা অংশেই ধরা পড়েছে মহরমের বিষাদময়তার কারণ। অর্থাৎ, গোড়ার কথাটি। আমরা শুনে নেব সেই অংশ। শোনাচ্ছেন সতীনাথ মুখোপাধ্যায়।
পবিত্র মহরম পালিত হচ্ছে সারা দেশ জুড়ে। আত্যন্তিক শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে দেশবাসী এই দিনটিকে স্মরণ করে। এই স্মরণমুহূর্ত আসলে আমাদের মনে করিয়ে দেয় অন্ধকারকে পরাজিত করে আলোয় উত্তরণের বিজয়ক্ষণ। জীবনে তা পবিত্রতার প্রতীক। মহরম – এই আরবি শব্দের অর্থও পবিত্র, সম্মানিত।
আমরা অনেকেই জানি, মহরমের উদযাপনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক বিষাদঘন আখ্যান। সেই বিষাদসিন্ধু ঘনিয়ে উঠেছিল মীর মোশারফ হোসেনের মরমী লেখনীতে। বাংলা সাহিত্যের এ এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। ইতিহাস আর কল্পনা যেখানে হাত ধরাধরি করে দিয়েছে মহাকাব্যিক বিস্তার ও ব্যঞ্জনা। সেই বিষাদসিন্ধুর উপক্রমণিকা অংশেই ধরা পড়েছে মহরমের বিষাদময়তার কারণ। অর্থাৎ, গোড়ার কথাটি। আমরা শুনে নেব সেই অংশ।
আরও শুনুন: Spiritual: দুঃখ-কষ্ট সত্ত্বেও এ সংসারে ঈশ্বর আমাদের রেখেছেন কেন?
উপক্রমণিকা পেরিয়ে আখ্যান গড়িয়ে যায় ইতিহাসের পথে, কল্পনাকে সঙ্গী করে। যেভাবে এগোয় মহাকাব্য। আর শেষে আমাদের জানিয়ে দেয়, অশুভশক্তিকে পরাজয় করে কীভাবে আমাদের ফিরতে হয় জীবনের সুসংস্কৃত পথে। এটুকু আমাদের ভুলে গেলে চলে না। কেননা এই মনে রাখার মধ্যেই আছে পবিত্রতার খোঁজ। জীবনকে সম্মানিত করার বাসনা। আমরা আমাদের জীবনের অভিমুখটিকে সেদিকে চালনা করতেই প্রয়াসী হই বারবার।