পুরোনো সংসদ ভবন ছেড়ে এবার নতুন ভবনে শুরু কেন্দ্রের অধিবেশন। কিন্তু এতদিনের ঐতিহ্যশালী ভবনটি নিয়ে কী করা হবে এবার? সে কথারও ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
ভারতীয় গণতন্ত্রের বহু ইতিহাসের সাক্ষী পুরোনো সংসদ ভবন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুরই হয়তো মেয়াদ ফুরোয়। যেমন এবার ইতি পড়ল ইতিহাসের সেই অধ্যায়ে। পুরোনো ভবনটি অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে অকেজো হয়ে পড়েছে বলেই দাবি তুলেছিল বর্তমানের কেন্দ্র সরকার। তাই এই ভবনকে বাতিল করে এবার যাত্রা শুরু করল নয়া সংসদ ভবন।
আরও শুনুন: সনাতন ধর্মের ভিত্তিতে এক হোক দেশ, লক্ষ্যে ১০৮ ফুটের শঙ্করাচার্য মূর্তি প্রতিষ্ঠা মধ্যপ্রদেশে
১৯২৭ সালে তৈরি হয়েছিল পুরনো সংসদ ভবন। ১৯৫৬ সালে আরও দুটি তলা যোগ করা হয় এই ভবনে। ভারতের ইতিহাসে একাধিক স্মরণীয় দিনের সঙ্গে এই ভবনের নাম জড়িয়ে রয়েছে। স্বাধীনতার সময়েও এই ভবন কার্যকরী ছিল। গণতান্ত্রিক ভারতের প্রতীক সংবিধানও এই সংসদ ভবনেই গৃহীত হয়েছিল। সেই কারণে পুরনো সংসদ ভবন ছাড়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন, পুরনো সংসদ ভবনের নাম হবে “সংবিধান সদন”, অন্যদিকে নতুন সংসদ ভবনের নাম “পার্লামেন্ট হাউজ অফ ইন্ডিয়া”।
আরও শুনুন: ছিল না কেন্দ্রের বিজ্ঞাপনেও, ইন্দিরা এনেছিলেন বলেই কি সংবিধানে বাদ ‘সেকুলার’ ‘সোশালিস্ট’?
এর আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছিলেন, নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন হওয়ার পরেও পুরনো ভবনটি যথাস্থানেই থাকবে। সেটি ভেঙে ফেলার কোনও পরিকল্পনাই নেই সরকারের। বরং বড় আকারের মিউজিয়াম হিসাবে সংসদ ভবনকে কাজে লাগানো হবে। এমনিতেই ২০০৬ সালে একটি সংগ্রহশালা তৈরি করা হয়েছিল এই ভবনে। এবার সাধারণ মানুষ যেন ভবনে ঢুকে ঘুরে দেখতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও থাকবে বলে আভাস দিয়েছিল কেন্দ্র। অধিবেশনের জায়গায় বসারও সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। আগামী দিনে পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠবে এই সংসদ ভবন, এমনটাই আশা ওয়াকিবহাল মহলের।