প্রতিদিনই নতুন কিছু চাই। কখনও দামি গয়না, কখনও দামি শাড়ি, কখনও আবার বিলাসবহুল গাড়ি! আর সেইসব দামি উপহারের দাবি পূরণ না হলেই নাকি বেচারা স্বামীর উপর চলত মানসিক অত্যাচার। শেষমেশ নিজের স্ত্রীর বিরুদ্ধেই পুলিশের দ্বারস্থ হলেন ওই ব্যক্তি। কী অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
অভিযোগ জানাতে থানায় হাজির এক ব্যক্তি। কিন্তু কার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তা শুনে পুলিশেরই চোখ চড়কগাছ। অন্য কেউ নয়, খোদ নিজের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতেই নাকি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ব্যক্তি। এমনিতে গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা আমাদের দেশে নতুন কিছু নয়। সাধারণত মহিলাদেরই সেই হিংসার শিকার হতে দেখা যায়। এই নিয়ে বেশ কিছু আইনও রয়েছে সংবিধানে। কিন্তু এক্ষেত্রে ঘটেছে একেবারে উলটো ঘটনা। স্ত্রীয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বলে দাবি ওই ব্যক্তির।
আরও শুনুন: বোরখা পরেই করছেন খাবার ডেলিভারি! মহিলার ‘আসল’ গল্প জেনে কুর্নিশ নেটিজেনদের
কী ঘটেছে ঠিক?
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউ শহরে। শহরের বাসিন্দা জিতেন্দ্র কুমার, স্থানীয় আশিয়ানা থানায় তাঁর স্ত্রী-র বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্রেই তাঁর আলাপ হয়েছিল সোনম নামে এক মহিলার সঙ্গে। আর তাঁকেই বছর দশেক আগে বিয়ে করেন জিতেন্দ্র। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে নিজের গ্রামের বাড়িতে যান তিনি। যেখানে তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা থাকতেন। কয়েকমাস একসঙ্গে কাটানোর পরই সোনম তাঁর পরিবারের সঙ্গে থাকতে আপত্তি জানাতে শুরু করেন। স্ত্রী-র কথা মেনে নিয়ে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে শহরে চলে আসেন জিতেন্দ্র। তাঁর দাবি, এরপরই সোনমকে অন্য রূপে দেখতে পান তিনি। তাঁর দাবি, নতুন জায়গায় আসার পর মাঝেমধ্যেই তাঁর কাছে বেশ দামি কিছু উপহার চাইতেন সোনম। প্রথম দিকে স্ত্রী-র সেসব দাবি হাসিমুখে মেনেও নিতেন তিনি। কিন্তু উত্তরোত্তর সেই উপহারের চাহিদা বাড়তে শুরু করে। জিতেন্দ্রর আরও অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী নাকি বিভিন্ন অছিলায় তাঁর কাছে টাকা চাইতেন। একইসঙ্গে একটি বিলাসবহুল গাড়ি কেনারও আবদার জানাতেন। আবদার না মিটলে মানসিকভাবে চরম হেনস্তা করতেন জিতেন্দ্রকে। শেষ পর্যন্ত একসময় জিতেন্দ্রর গ্রামের বাড়ি ও সম্পত্তি তাঁকে সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করে নেওয়ার পরামর্শ দেন তাঁর স্ত্রী।
আরও শুনুন: নেশার ঘোরে অশ্লীল আচরণ, মত্ত ব্যক্তিকে কোলে তুলে উচিত শিক্ষা দিলেন নর্তকী
এতদিন স্ত্রীর বিভিন্ন দাবিদাওয়া মেটানোর চেষ্টা করলেও এহেন দাবি শুনে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারেননি জিতেন্দ্র। সরাসরি গিয়ে হাজির হন স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে। সেখানে গিয়ে সবিস্তারে সমস্ত ঘটনা জানান তিনি। তারপর স্ত্রী সোনমের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। যদিও এক্ষেত্রে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন তাঁর স্ত্রী। ঘটনার তদন্ত চলছে বলেই জানিয়েছে আশিয়ানা থানার পুলিশ।