এর আগেও একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন কৌতূকশিল্পী কুণাল কামরা। আবারও বিতর্কের জালে কুণাল। হিন্দু দেবদেবীকে অপমান করার অভিযোগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের রোষের মুখে কৌতূকশিল্পী। গুরুগ্রামে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে তাঁর অনুষ্ঠানও। সেই ব্যাপারেই এবার শিল্পীর পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কী বললেন তিনি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
ফের হিন্দুত্ববাদীদের রোষের মুখে জনপ্রিয় কৌতূকশিল্পী কুণাল কামরা। কুণালের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। শিল্পীর প্রশংসায় হলেন পঞ্চমুখও।
বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ে না কুণালের। এর আগেও একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন শিল্পী। কখনও সুপ্রিম কোর্ট অবমাননার অভিযোগ তো কখনও অন্য কিছু। এবার তাঁর বিরুদ্ধে হিন্দু দেবদেবী ও সংস্কৃতিকে অপমান করার অভিযোগ আনল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল। এমনকী তাঁর শো বয়কটেরও ডাক দেওয়া হয় হিন্দুত্ববাদী ওই দুটি সংগঠনের তরফে। গুরুগ্রামে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি বন্ধও করে দিতে হয় তাদের চাপে। তবে এত কিছুর পরেও নিজের অবস্থানে অনড় কুণাল।
আরও শুনুন: ধর্মের বাধা সরাল বিপর্যয়, বন্যাবিধ্বস্ত পাকিস্তানে মুসলিম পরিবারগুলিকে আশ্রয় দিচ্ছে মন্দির
কুণালের একটি ভিডিও নিয়ে আপত্তি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনদুটির। তবে চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেননি শিল্পী। বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে একটি খোলা চিঠি লিখে সপাটে চ্যালেঞ্জ করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, সংগঠনটি প্রমাণ-সহ দেখাক, ঠিক কোন ভিডিওয় তিনি হিন্দু সংস্কৃতিকে অপমান করেছেন। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি বড়সড় টুইট করেন কুণাল। তিনি জানান, হিন্দু ধর্মকে নয়, বরং সরকারেরই সমালোচনা করেছিলেন তিনি তাঁর ভিডিওয়। তাঁর কটাক্ষ, সরকারের পোষ্য না হলে সেই ভিডিও খারাপ লাগার কথা নয় কারওর। এখানেই শেষ নয়, বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে একহাত নিতেও ছাড়েননি কুণাল। তাঁর বক্তব্য, তাঁদের সংগঠনের নাম থেকে ‘বিশ্ব’ শব্দটি সরানো হোক অবিলম্বে। কারণ তিনি মনে করেন, হিন্দুধর্ম রক্ষার ভার ওই সংগঠনকে আদৌ দেননি এ বিশ্বের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। নিজেকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতাদের থেকে অনের বড় মাপের হিন্দু বলেও দাবি করেছেন কৌতূকশিল্পী। গান্ধীজির হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে সমর্থন নিয়েও সংগঠনটিকে এক হাত নেন কুণাল।
আরও শুনুন: ব্রেক আপ পার্টি! বিবাহবিচ্ছেদের পর একসঙ্গে উদযাপনে শামিল ১৮ জন ব্যক্তি
আর তাঁর এই প্রতিবাদী স্বরের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল সংসদ মহুয়া মৈত্র। কুণাল কামরার এই অদম্য সাহসের প্রশংসাও করেছেন মহুয়া। এই প্রথম নয়। ‘কালী’ তথ্যচিত্রের পোস্টার ঘিরে বিতর্কের সময়েও কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন মহুয়া। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ছবির পরিচালক লীনা মানিমেকলাইয়ের। বরাবরই বাঁধা ছকের বাইরে হাঁটতে পছন্দ করেছেন মহুয়া। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। কুণালকে সমর্থন করে মহুয়া জানান, কৌতূকশিল্পীর এই বক্তব্য বিরোধীদের কেউ কেউ পড়বেন, এটুকুই আশা করছেন সাংসদ।