দেবতাদের জন্মের বিবরণ দিতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন এক নেতা। আর তার জেরেই উত্তপ্ত তেলেঙ্গানা। হিন্দু দেবদেবীকে নিয়ে অসম্মানজনক মন্তব্য করা হয়েছে, এই অভিযোগে সরব ভক্তরা। বক্তাদের গ্রেপ্তারির দাবিতে ছড়াল বিক্ষোভ। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
ফের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ। হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জেরে বিক্ষোভ ছড়াল তেলেঙ্গানায়। অভিযোগ, এক সভায় দেবদেবীদের জন্মের কাহিনি বর্ণনা করতে গিয়ে রীতিমতো আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ করেছেন একাধিক বক্তা। এমনকি এই প্রসঙ্গ টেনেই জনপ্রিয় তেলুগু সিনেমা ‘পুষ্পা’-র একটি আইটেম নাম্বার-ও গেয়ে উঠেছেন একজন। আর এই সবকিছুকে একেবারেই ভাল চোখে দেখছেন না ভক্ত সম্প্রদায়। বক্তাদের গ্রেপ্তারির দাবিতে জোর বিক্ষোভ ছড়িয়েছে সে রাজ্যের বাসার এলাকায়। জ্ঞানসরস্বতী মন্দিরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন পুরোহিত এবং মন্দিরের সেবায়েতরা। এমনকি পথ অবরোধও করেছে বিক্ষোভকারীদের একাংশ। এই বিক্ষোভে হিন্দুত্ববাদীদের মদত রয়েছে বলেও খবর।
কী ঘটেছে ঠিক?
আরও শুনুন: ‘ধর্ষকদের থেকেও কি আমি বিপজ্জনক!’ বিজেপি নেত্রীকে তোপ উরফির
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই অঞ্চলে একটি সভার আয়োজন করেছিল ভারত নাস্তিক সংঘ নামে একটি গোষ্ঠী। ওই সংগঠনটি ঘোষিতভাবেই নাস্তিক এবং তার সদস্যরা নিজেদের যুক্তিবাদী বলে দাবি করে থাকেন। কিন্তু গোষ্ঠীর দুই সদস্যের মন্তব্যের জেরেই এবার ঘনিয়ে উঠল বিতর্ক। বৈরী নরেশ এবং রেঞ্জেরলা রাজেশ, এই দুই বক্তার নামে ইতিমধ্যেই তেলেঙ্গানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
আরও শুনুন: কন্ডোমের বিজ্ঞাপনে গরবা শ্লীল না অশ্লীল! সিদ্ধান্ত জানাল আদালত
কিন্তু ঠিক কী বলেছিলেন তাঁরা? ভক্তদের অভিযোগ, হিন্দু দেবদেবীদের সম্পর্কে আপত্তিজনক কথা বলেছিলেন দুজনেই। বৈরী নরেশ এবং সংগঠনের আরও এক সদস্য ডোলু হনুমন্থুকে সম্প্রতি গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সভায় দেব আয়াপ্পার জন্ম নিয়ে কথা বলছিলেন নরেশ। কথিত আছে, বিষ্ণুর মোহিনী রূপ দেখে মুগ্ধ হয়ে তাঁর সঙ্গে মিলিত হন শিব। দুই দেবতার এহেন সঙ্গমের ফলেই জন্ম আয়াপ্পার। কিন্তু এই প্রচলিত কাহিনিকে নরেশ যেভাবে উপস্থাপিত করেছিলেন, তা আদৌ পছন্দ হয়নি ভক্তদের। অভিযোগ, বিষ্ণুর ওই রূপটিকে ‘আইটেম’ বলে চটুল রসিকতা করেছিলেন বক্তা। সেইসঙ্গে জনপ্রিয় তেলুগু সিনেমা ‘পুষ্পা’-র একটি আইটেম নাম্বার গাইতেও ছাড়েননি তিনি। এদিকে দেবী সরস্বতীকে অসম্মান করার অভিযোগ উঠেছে রাজেশের বিরুদ্ধে। তার জেরেই এবার জ্ঞানসরস্বতী মন্দিরের সামনে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। এহেন মন্তব্য করে হিন্দু ধর্মকে অপমান করেছেন ওই ব্যক্তিরা, এই অভিযোগে সরব হিন্দুত্ববাদীরাও। সব মিলিয়ে, দেবদেবীকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে রীতিমতো বিপাকেই পড়েছেন ওই গোষ্ঠীর সদস্যরা।