আর ‘গুড মর্নিং’ কিংবা সুপ্রভাত বলা যাবে না। বরং জয় হিন্দ অভিবাদনের মাধ্যমেই দিন শুরু করতে হবে পড়ুয়াদের। সরকারের তরফে জারি কড়া নির্দেশ। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
ছোটবেলা থেকেই দেশপ্রেমের দীক্ষা দিতে হবে সকলকে। সেই উদ্দেশ্যেই অভিনব সিদ্ধান্ত সরকারের। জানা যাচ্ছে, সকালবেলা আর ‘গুড মর্নিং’ বলা যাবে না। বদলে বলতে হবে ‘জয় হিন্দ’। স্বাধীনতা দিবস থেকেই পাকাপাকিভাবে এ নিয়ম চালু করে দেওয়া হচ্ছে, এমনটাই জানিয়েছে হরিয়ানার বিজেপি সরকার।
:আরও শুনুন:
মানুষ নয়, ঘটা করে গাছেদের জন্মদিন পালন করে মহারাষ্ট্রের সংস্থা, কেন জানেন?
যে কোনও স্কুলেই দিনের শুরুতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিবাদন জানায় পড়ুয়ারা। উত্তর আসে ওপ্রান্ত থেকেও। ‘গুড মর্নিং’ কিংবা সুপ্রভাত বলেই শুরু হয় পঠনপাঠন। শুধু এ দেশে নয়, গোটা বিশ্বেই এভাবে সম্ভাষণ জানানোর রীতি প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু তাতেই আপত্তি হরিয়ানার বিজেপি সরকারের। হরিয়ানা সরকার মনে করছে, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ‘জয় হিন্দ’ বলার অভ্যাস চালু হলে তারা দেশের সংগ্রামী ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে জানবে, শ্রদ্ধাশীল হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদী আদর্শ জাগিয়ে তোলার উদ্দেশ্যেই এই নিয়ম জারি করা হচ্ছে, দাবি নবাব সিং সাইনি সরকারের। সরকারের আরও বক্তব্য, এই স্লোগান পড়ুয়াদের মনে করিয়ে দেবে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের লড়াইয়ের কথাও। উপরন্তু রাজ্য জুড়ে একই অভিবাদন চালু হলে আঞ্চলিক, ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক পার্থক্য থাকবে না। পড়ুয়াদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতেও কার্যকর হবে এই নয়া অভিবাদনের রীতি, দাবি সরকারের। আগামী ১৫ অগস্ট থেকেই হরিয়ানার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর করা হবে এই নিয়ম। এই মর্মে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার।
:আরও শুনুন:
যোগ্যতা বা কর্মদক্ষতা দেখে নয়, রাশি মিলিয়ে ভাগ্য বিচার করেই চাকরি দিচ্ছে সংস্থা
আপাতদৃষ্টিতে দেশের জয়ধ্বনি করার মধ্যে তো আপত্তির কিছু নেই। তবে জয়ধ্বনির পাশাপাশি দেশের সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলাও কিন্তু দেশের নাগরিকদেরই কর্তব্য। আর স্কুল পড়ুয়াদের সে বিষয়ে সচেতন করাও জরুরি। জয়ধ্বনির আড়ালে প্রশ্ন করার বোধ যেন ঢাকা পড়ে না যায়, সেটুকুই মনে রাখতে হবে।