যোগব্যায়াম নাকি মুসলিমবিরোধী! এই দাবি তুলেই একসময় সরগরম হয়েছিল মলদ্বীপ। সাম্প্রতিক বিতর্কের মাঝে ফের উসকে উঠল সেই প্রসঙ্গ। যাকে দ্বীপরাষ্ট্রটির ভারতবিরোধী প্রোপাগান্ডা বলেই দাবি একাংশের।
ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন মলদ্বীপের জনাকয়েক মন্ত্রী। সেই ইস্যু ঘিরেই বর্তমানে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সচিন-শামি-অক্ষয় সহ তাবড় তারকারাও। মলদ্বীপকে বয়কটের দাবিতে সরগরম নেটদুনিয়া। এই প্রেক্ষিতেই এবার সামনে এল দ্বীপরাষ্ট্রটির আরেক পুরোনো বিতর্ক, যাকে ভারতবিরোধী প্রোপাগান্ডা বলেই দাবি একাংশের। জানা গিয়েছে, যোগব্যায়ামকে মুসলিমবিরোধী বলে এর আগেও বড় বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল সেখানে। আর সেই বিক্ষোভের নিশানা ছিল ভারতের দিকেই।
কী ঘটেছিল ঠিক?
আরও শুনুন: মোদির সফরের পর চর্চায়… হিন্দুদের লাক্ষাদ্বীপ কীভাবে হয়ে উঠল মুসলিমপ্রধান অঞ্চল?
জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে সে দেশে একটি যোগব্যায়াম কর্মসূচির আয়োজন করেছিল মলদ্বীপের ভারতীয় দূতাবাস। ওই আসরে উপস্থিত হয়েছিলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত, সরকারি আমলারাও। জড়ো হয়েছিলে সাধারণ নাগরিকেরাও। কিন্তু তার মধ্যেই আচমকা শ-দেড়েক বিক্ষোভকারী চড়াও হয় সেখানে। লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় তারা। যাঁরা যোগ অভ্যাস করছিলেন, তাঁদের তাড়া করে। প্রাণের ভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন উপস্থিত সকলেই। হামলাকারীরা তাঁদের আঘাত করার চেষ্টা করে, উপরন্তু সেখানে খাবারের স্টল, সাজসজ্জা যা কিছু ছিল সেসবও নষ্ট করে দেয়। হামলাকারীদের দাবি ছিল, যোগব্যায়াম আদতে ইসলামের পরিপন্থী, সুতরাং মলদ্বীপে যোগ অভ্যাস করা চলবে না।
আরও শুনুন: মসজিদে মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার দরকার নেই, ভাগবতের মতেই সায় উমা ভারতীর
এ ঘটনা ঘটেছিল ২০২২ সালে। সেদিন এহেন তাণ্ডব দেখে কার্যত চমকেই গিয়েছিলেন সকলে। এমনিতে বিশ্বজুড়ে ১৯২টি দেশে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়, তার মধ্যে রয়েছে ৪৪টি মুসলিমপ্রধান দেশও। কিন্তু আর কোনও অঞ্চলেই কখনও এহেন হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেই জানায় আন্তর্জাতিক মহল। ভারতবিদ্বেষের কারণেই এহেন ঘটনা ঘটেছিল বলে সন্দেহ অনেকের। আর সেই সন্দেহের পালেই নতুন করে হাওয়া দিল সাম্প্রতিক বিতর্কিত মন্তব্য।