আর জি কর কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। এই আবহেও সামনে আসছে একাধিক নারী নির্যাতনের খবর। সম্প্রতি এই নিয়েই গর্জে উঠেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে যমরাজের প্রসঙ্গ টেনে অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। ঠিক কী বলেছেন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে বরাবর গর্জে ওঠেন। কারও তোয়াক্কা না করেই বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। তা নিয়ে বিতর্কও হয়। শুধু কথার কথা নয়, অপরাধ দমনে কড়া পদক্ষেপ নিয়েও দেখিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। এবার সেই তিনিই গর্জে উঠলেন নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে।
কখনও বুলডোজার নীতি, তো কখনও ‘ঠোক দো’। হিংসা রুখতে বারে বারেই কড়া পদক্ষেপের উপর ভরসা রেখেছে উত্তরপ্রদেশ। আর সেইভাবেই অশান্তি দমন করা যায় বলে দাবি করে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সম্প্রতি নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। সাফ জানিয়েছেন, নারী নির্যাতনকারীদের জন্য রাস্তার মোড়ে যমরাজ অপেক্ষা করছে। কোনও ভাবেই নারী নির্যাতনের অপরাধকে মেনে নেওয়া হবে না বলেই দাবি আদিত্যনাথের। বলার অপেক্ষা রাখে না, তাঁর এই মন্তব্যের নেপথ্যে আর জি করের ঘটনাই রয়েছে। যা নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল। বাংলায় এই নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেমেছে বিজেপি। বারবার বাধা সত্ত্বেও বিচারের দাবিতে পথে নামছেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। এই আবহে আদিত্যনাথের এই মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
যদিও এই প্রথম নয়। এর আগেও নারী নির্যাতকদের শাস্তি হিসেবে যমরাজের প্রসঙ্গ টেনেছেন যোগী। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই নিজের জাত চেনান যোগীরাজ। এর মধ্যে ২০২২ এর নির্বাচনেও জিতেছেন যোগী। এই ৭ বছরে একাধিকবার শিরোনামে এসেছে তাঁর নাম। সব ক্ষেত্রেই খবরের ধরণ মোটামুটি এক। কড়া হাতে অপরাধ দমন করছেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। বুলডোজার দিয়ে বেইআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া থেকে শুরু করে আরও কত কি! প্রশ্ন উঠেছে নৈতিকতা নিয়ে। বিরোধী শিবিরের কটাক্ষও কম আসেনি। তবু নিজের মেজাজে এগিয়ে গিয়েছেন যোগী। যার ফল অবশ্য সে রাজ্যের মানুষ হাতে নাতে পেয়েছেন। অনেকেই সর্ব সমক্ষে স্বীকার করেন, বিজেপি জমানায় উত্তরপ্রদেশের অপরাধ রীতিমতো কমেছে। এবার উত্তরপ্রদেশের মতো দেশের অন্যান্য রাজ্যও অপরাধমুক্ত হোক, যোগীর মন্তব্যে সাফ ধরা পড়ল সেই ইঙ্গিত।