শিবমন্দিরে ঢুকে নমাজ পড়েছেন মুসলিম মহিলা। তাও আবার ইমামের নির্দেশে। সম্প্রতি এমনই অভিযোগে সরগরম যোগীরাজ্যের বরেলি। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে? আসুন শুনে নিই।
হিন্দুদের পবিত্র ধর্মস্থান। রয়েছে নিয়মিত পুজোর ব্যবস্থাও। এমনই এক শিবমন্দিরে ঢুকে নামাজ পড়েছেন মুসলিম মহিলা। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে যোগীরাজ্যের বরেলিতে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা একা নন, সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়েও। আর এই কাজ তাঁরা করেছেন এক ইমামের নির্দেশে।
আরও শুনুন: ‘সরকার যাবে-আসবে, দেশ যেন থেকে যায়’… অটল-স্মৃতি ফেরালেন মোদি
হিন্দুদের ক্ষেত্রে মন্দির। আর মুসলিমদের মসজিদ। দুই সম্প্রদায়ের ধর্মস্থান যেমন আলাদা, প্রার্থনার ধরনও তেমনই ভিন্ন। হিন্দুদের মধ্যে মূর্তি বা লিঙ্গপূজার চল রয়েছে। তবে ইসলাম ধর্মে মূর্তি পূজার চল নেই। প্রার্থনা বলতে নামাজ পাঠ। সাধারণত মসজিদে গিয়েই সেই প্রার্থনা সারেন মুসলিমরা। তবে সম্প্রতি মন্দিরে ঢুকে নামাজ পড়ার অভিযোগ এসেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলির এক শিবমন্দির থেকে। অভিযোগ, বরেলির ওই মন্দিরে ঢুকে নমাজ পড়েছেন বছর ৩৮-এর এক মহিলা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ১৯ বছরের মেয়ে। তবে এমনটাও শোনা গিয়েছে, এই কাজ তাঁরা নিজে থেকে করেননি। তাঁদের মন্দিরের ভিতর নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন এক মৌলবি। ঘটনায় এই তিন অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ঘটনাটি জানার পর পুলিশে খবর দেন স্থানীয় এক গ্রাম প্রধান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও শুনুন: চাঁদে না গেলে প্রধানমন্ত্রী হবেন না রাহুল! কংগ্রেস নেতাকে কটাক্ষ হিমন্ত বিশ্বশর্মার
গ্রেপ্তারির পর ঘটনার বিবরণ দিয়েছে পুলিশও। তাঁরাও দাবি করেছেন, দুই মহিলা সেদিন সত্যিই শিব মন্দিরে ঢুকে নামাজ পড়েছেন। তবে ঘটনার তদন্ত এখনও জারি রয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন অফিসাররা। ঠিক কোন উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁরা এমন কাজ করেছেন আপাতত সেই খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ধর্মীর ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ রয়েছে। সেইসঙ্গে এই ঘটনাটি ক্রিমিনাল কন্সপিরেসি বা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের আখ্যা দিচ্ছে পুলিশ। ঘটনায় উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়াও। অনেকেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। ঘটনার একাধিক ব্যাখ্যাও সামনে আসছে। কেউ কেউ দাবি করেছেন, মৌলবি ওই মহিলাকে বলেছিলেন এই কাজ করলে তাঁর ভাগ্য ফিরবে। তাই মেয়েকে নিয়ে নমাজ পড়তে গিয়েছিলেন তিনি। একইসঙ্গে ভাইরাল হয়েছে ওই মহিলার একটি ভিডিও-ও। অনেকেই দাবি করছেন, মহিলা সেদিন মন্দিরের ভিতর ঠিক কী করেছেন তার সবটাই দেখা যাবে ওই ভিডিওতে। তবে সেই ভিডিও কতটা সত্যি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সব মিলিয়ে আরও একবার সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে সরগরম যোগীরাজ্য।