সিলেবাসে যোগ হবে সাভারকর সহ আরও ৫০জন স্মরণীয় নেতার আত্মজীবনী। সম্প্রতি এমনটাই ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য শিক্ষা পর্ষদ। এতেই ঘোর আপত্তি সমাজবাদী দলের এক নেতার। সরাসরি যোগী সরকারকে তোপ দেগে এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, সিলেবাসে মুসলিম লিগ নেতাদের আত্মজীবনীও যুক্ত করা হোক। ঠিক কী বলেছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
সিলেবাস বদল নতুন ঘটনা নয়। কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই একাধিকবার বদল ঘটেছে অধিকাংশ বিষয়ের পাঠ্যসূচী। সম্প্রতি বদলানো হয়েছে উত্তরপ্রদেশের রাজ্য সরকারি স্কুলগুলোর পাঠক্রমও। যেখানে বিনয় দামোদর সাভারকর সহ ৫০জন নেতার আত্মজীবনী যোগ করা হয়েছে। এর পালটা হিসেবে, সিলেবাসে মুসলিম লিগ নেতাদের আত্মজীবনীও সিলেবাসে যুক্ত করার দাবি তুলেছেন সমাজবাদী নেতা স্বামী প্রসাদ মৌর্য।
আরও শুনুন: ভারতেও আছে ‘হুসেন ওবামা’! হিমন্ত বিশ্বশর্মার মন্তব্যে ক্ষিপ্ত বিরোধীরা, পালটা তোপ কংগ্রেসের
রাজ্যের পড়ুয়ারা দেশের ইতিহাস আরও ভালোভাবে জানবে, এই আশা নিয়েই সিলেবাস বদলের সিদ্ধান্ত নেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। শিক্ষা দপ্তরের তরফে জানানো হয়, স্বাধীনতায় যাঁদের অবদান অনস্বীকার্য তাঁদের আরও ভালোভাবে জানতে পারবে পড়ুয়ারা। সিলেবাসে যোগ করা হয় বিনয় দামোদর সাভারকর সহ ৫০ জনের আত্মজীবনী। কিন্তু এই পদক্ষেপের চরম বিরোধিতা করেছেন সমাজবাদী পার্টির সাধারণ সম্পাদক স্বামী প্রসাদ মৌর্য। তাঁর দাবি, মুসলিম লিগ নেতাদের আত্মজীবনীও সিলেবাসে যুক্ত করা হোক। এ প্রসঙ্গে তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন, বেশকিছু মুসলিম নেতাও ভারতের স্বাধীনতায় যথেষ্ট অবদান রেখেছেন। তাই তাঁদের নামও সিলেবাসে যুক্ত থাকা উচিত বলেই মনে করেছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, সাভারকর সহ হিন্দু মহাসভার নেতাদের আত্মজীবনী যদি সিলেবাসে থাকতে পারে তাহলে মুসলিম নেতাদের নাম কেন থাকবে না? সেইসঙ্গে সাভারকর দেশভাগের জন্য দায়ী, এই কটাক্ষও করেছেন সমাজবাদী নেতা। যদিও হিন্দু মহাসভার বিরুদ্ধে কথা বলতেও ছাড়েননি তিনি। তাঁর সাফ দাবি, ১৯৩২ সাল থেকে লাগাতার হিন্দু মহাসভা দেশভাগের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে যোগীসরকারের এই পদক্ষেপের তুলোধনা করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সমাজবাদী নেতার এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল শুরু হয়েছে।