তালিবানের গুলি খেয়ে পাকিস্তান ছেড়ে পালাতে হয়েছিল মালালাকে। কিন্তু ভারত তার মেয়েদের নিরাপত্তা দেয়। ব্রিটেনের সংসদে দাঁড়িয়ে এহেন সুরেই মালালাকে বিঁধেছেন ইয়ানা মির। কে এই তরুণী? শুনে নেওয়া যাক।
‘আমি মালালা নই।’ এই একটি কথার সূত্রেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন ইয়ানা মির। দেশ ছাড়ার প্রসঙ্গ টেনেই নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইকে জোর কটাক্ষ তাঁর। তাঁর সাফ দাবি, ভারতে থেকে তিনি নিরাপত্তা পেয়েছেন, স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর জন্মভূমি কাশ্মীর ছেড়ে তিনি পালানোর কথা ভাবেননি কখনোই। অথচ যে মালালা নিজে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, তিনি ভারতের দমননীতি নিয়ে কথা বলছেন! এ ভারতের বদনাম করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়, এই মর্মেই মালালার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন এই তরুণী। কাশ্মীর ইস্যুতে এমনিতেই পাক-ভারতের দীর্ঘ দ্বৈরথের ইতিহাস রয়েছে, এহেন মন্তব্যে সেই দ্বন্দ্বকেই তিনি আরও খানিক উসকে দিলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কিন্তু কে এই ইয়ানা মির? কোন সূত্রেই বা ব্রিটিশ সংসদে পৌঁছলেন এই তরুণী?
আরও শুনুন:
মেয়েদের অপমান করে কী প্রাপ্তি হয় নেতাদের? প্রশ্ন সোনা মহাপাত্রের অথবা দেশেরই
জানা যাচ্ছে, ইয়ানা মির জম্মু-কাশ্মীরের একজন সমাজকর্মী ও সাংবাদিক। শ্রীনগরের বাসিন্দা এই তরুণী হিমাচলপ্রদেশের আইইসি ইউনিভার্সিটি থেকে জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশনে স্নাতক হন। এরপর মুম্বই ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ সেরে বর্তমানে জাতীয় সংবাদমাধ্যমে কর্মরত তিনি। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম মহিলা ইউটিউবার তিনিই, তাঁর চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বর্তমানে ২০ লক্ষেরও বেশি। কাশ্মীর উপত্যকার কল্যাণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করা একটি সমাজসেবী সংস্থার সহ-সভাপতির দায়িত্বও সামলান এই তরুণী। সম্প্রতি ব্রিটেনের সংসদ থেকে ডাইভার্সিটি অ্যাম্বাসাডর অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। আর সেখানেই নজর কেড়েছে তাঁর বক্তব্য। যেখানে তিনি রীতিমতো কড়া সুরেই কটাক্ষ করেছেন মালালা ইউসুফজাইকে।
আরও শুনুন:
কত চালে কত ভোট! দোসর কন্ডোমও, রাজনীতিতে যারা নতুন ‘মুখ’
তালিবানের গুলিতে মাথার খুলির এক অংশ উড়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান ছাড়তে হয়েছিল মালালাকে। তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিল ব্রিটেন। পরবর্তীতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে চলেছেন নারীর শিক্ষা ও অধিকার রক্ষার জন্য। মানবাধিকারের প্রসঙ্গে ভারতের, বিশেষ করে কাশ্মীরের কথাও বলেছেন তিনি। কিন্তু মালালার সেই বক্তব্যের বিরোধিতা করেই এবার গর্জে উঠলেন কাশ্মীরের এই সাংবাদিক।