অর্থনৈতিক সঙ্কটের জেরে ধুঁকছে পাকিস্তান। পাশাপাশি রাজনৈতিক বিরোধও তুঙ্গে উঠেছে সে দেশে। সব মিলিয়ে টালমাটাল অবস্থা পাকিস্তানে। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই মিলতে পারে একমাত্র নরেন্দ্র মোদির হাত ধরেই, এমনটাই মনে করছেন পাক নাগরিকদের একাংশ। ঠিক কী বক্তব্য তাঁদের? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
পাকিস্তানের হাতে ভিক্ষার বাটি ধরিয়ে দিয়েছে ভারত, নিজের এক বক্তব্যে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর চূড়ান্ত আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে সেই মোদিকেই মসিহা বলে মনে করছেন পাকিস্তানের নাগরিকদের একাংশ। পাকিস্তানকে এই টালমাটাল অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে পারেন কেবল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই, ইমরান খান কিংবা শাহবাজ শরিফ নন, এমনটাই মত তাঁদের। সম্প্রতি এক ভিডিওর সূত্রে প্রকাশ্যে এসেছে এই দাবি।
আরও শুনুন: লতা মঙ্গেশকরকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, সৌজন্যের প্রশ্নে পাকিস্তানকে তুলোধোনা জাভেদ আখতারের
সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় ইউটিউবার সানা আমজাদ। যেখানে দেখা যায়, এক স্থানীয় বাসিন্দাকে প্রশ্ন করছেন একজন সাংবাদিক। ওই ব্যক্তি স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘বাঁচতে হলে পাকিস্তান থেকে পালাও, পারো তো ভারতে চলে যাও।’ এদিকে এক দেশ ভেঙে জন্ম হলেও, বিশ্বের রাজনীতিতে বরাবরই যুযুধান দুই পক্ষ ভারত ও পাকিস্তান। এমনকি ভারতের উপর চলা একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষেছে পাক জঙ্গিরাই। তাই পাকিস্তানের কোনও বাসিন্দা ভারতে চলে যেতে চাইছেন, এমনটা শুনলে অবাক লাগারই কথা। কিন্তু সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ওই ব্যক্তি সাফ জানান, পাকিস্তানে জন্ম হওয়ার জন্য আপশোশ করেন তিনি। দেশভাগ না হলে তিনি এবং দেশের অন্যান্য নাগরিকেরাও এই পরিস্থিতিতে পড়তেন না। তাঁরা ন্যায্য মূল্যে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারতেন, রোজ সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতেও পারতেন। বেনজির ভুট্টো, পারভেজ মুশারফ, নওয়াজ শরিফ বা ইমরান খান, কেউই পাকিস্তানের মানুষকে সেই প্রাথমিক স্বাচ্ছন্দ্যটুকু দিতে পারেননি বলে তোপ দেগেছেন ওই ব্যক্তি। উলটোদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির শাসনের উপরেই আস্থা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আরও শুনুন: ‘ওঁকে অত গুরুত্ব দিই না’, কঙ্গনার প্রশংসা উড়িয়ে দিলেন জাভেদ আখতার
উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মোদি বলেছিলেন, “আমরা পাকিস্তানের ঔদ্ধত্যকে ধ্বংস করতে পেরেছি। গোটা বিশ্বের সামনে তাদের ভিক্ষার বাটি নিয়ে দাঁড় করিয়ে দিতে পেরেছি।” সেই সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইমরান খানই। সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্কটের জন্য শাহবাজ শরিফ সরকারকে দায়ী করে ফের সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছিলেন ইমরান। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, তাঁদের কারও উপরেই সেভাবে আস্থা রাখতে পারছেন না দেশের বহু নাগরিকই। খোদ পাকিস্তানে নেতা হিসেবে তাঁদের চেয়ে বেশি ভোট কুড়িয়ে নিয়েছেন এহেন মন্তব্য করা মোদিই, এমনটাই বুঝিয়ে দিয়েছে এই সাম্প্রতিক ভিডিও।