ফের বয়কটের ধুয়ো তুলে সরব হিন্দুত্ববাদীরা। এবার অবশ্য কোনও বলিউডি বিগ ব্যানার নয়, সাধারণ ব্যবসায়ীদের উপরেই পড়েছে কোপ। ধর্মীয় মেলায় মুসলিম দোকানিদের বসতে দেওয়া যাবে না, এই দাবিতেই ফের সুর চড়িয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
ধর্মীয় মেলায় ব্যবসা করতে পারবেন না মুসলিম দোকানদারেরা। এই দাবিতে এর আগেও সরব হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এবার ফের একইভাবে বয়কটের জিগির তুলেছে তারা। কর্ণাটকে একটি ধর্মীয় মেলার আবহে আবারও সেই পুরনো সুর তুলে হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, মেলায় কোনও মুসলিম ব্যবসায়ীকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। এমনকি এই মর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে জানিয়ে স্থানীয় ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরকেও স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
কী ঘটেছে ঠিক?
আরও শুনুন: কারও সর্বনাশ তো কারও পৌষ মাস! আদানিকে টপকে দেশের ধনীতম এখন আম্বানিই
জানা গিয়েছে, কর্ণাটকের একটি জনপ্রিয় মেলা ঘিরেই বিরোধের সূত্রপাত। সাধারণত অধিকাংশ মেলাই আয়োজিত হয় কোনও না কোনও ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে। এই মেলাটিও তার ব্যতিক্রম নয়। কর্ণাটকের টুমকুর জেলায় গুব্বি শ্রী চান্নাবাসবেশ্বর মন্দিরকে কেন্দ্র করে প্রত্যেক বছর গুব্বি শ্রী চান্নাবাসবেশ্বর মহোৎসবের আয়োজন করা হয়। আর সেই উপলক্ষেই মেলা বসান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এবার সেখানেই মুসলিম ব্যবসায়ীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে তৎপর হয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি।
আরও শুনুন: মন্দিরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, ৮০ বছরের বাধা উড়িয়ে তামিলনাড়ুতে পুজো ২০০ দলিতের
যদিও এই প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিকবার ধর্মীয় মেলার মুসলিম ব্যবসায়ীদের প্রবেশ করার ইস্যুতে কট্টর মনোভাব প্রকাশ করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এমনকি চলতি বছরেই জানুয়ারি মাসে কর্ণাটকেরই দক্ষিণ কন্নড় জেলায় একইরকম ঘটনা ঘটে। সেখানে পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দির ঘিরে আয়োজিত মেলায় এক মুসলিম দোকানদারকে দোকান তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছিল। হিন্দু ধর্মের কোনও ধর্মীয় উৎসবে যাতে ব্যবসার সূত্রেও মুসলিমদের প্রবেশ করতে দেওয়া না হয়, তা নিশ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি। আর এই ইস্যুতে বারেবারেই সামনে এসেছে বিজেপিশাসিত কর্ণাটকের একাধিক ঘটনা। মুসলিমরা গোহত্যা করে বলেই তাদের কোনও ধর্মীয় এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না, এমনটাই দাবি হিন্দুত্ববাদীদের। আর সেই একই দাবিতে আরও একবার বিতর্ক উসকে উঠল কর্ণাটকে।