বিয়ে কিংবা অন্নপ্রাশন নয়। পঞ্জিকা দেখে অপরাধ দমনের ফরমান জারি হল যোগীরাজ্যে। সেখানে অমাবস্যার আগে ও পরে রাজ্য পুলিশকে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে নির্দিষ্ট করা হয়েছে আরও কিছু নিয়ম। ঠিক কী বলা হয়েছে? আসুন শুনে নিই।
হিন্দু ধর্মে যে কোনও শুভ কাজ পঞ্জিকা মিলিয়ে করার নিয়ম রয়েছে। সেখানে উল্লিখিত দিন মেনেই নির্দিষ্ট হয় শুভ কাজ। কিন্তু যোগীরাজ্যে সেই পঞ্জিকা মিলিয়েই অপরাধ দমনের নয়া ফরমান জারি রয়েছে। রাজ্য পুলিশকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশপ্রধান বিজয় কুমার।
আরও শুনুন: বাবরি ধ্বংসে ছিল বড় ভূমিকা, সেই কল্যাণের মৃত্যুদিনেই ‘হিন্দু গৌরব দিবস’ পালনের ডাক বিজেপির
অপরাধ দমনের প্রসঙ্গে প্রায়শই খবরের শিরোনামে থাকে যোগীরাজ্য। বুলডোজার নীতি থেকে শুরু করে একাধিক নিয়ম নিয়ে বিতর্কও হয় ভালমতোই। সেই রাজ্যেই সম্প্রতি জারি হয়েছে অপরাধ দমনের নয়া ফরমান। রাজ্যের ডিজিপি বিজয় কুমারের নির্দেশ, অপরাধী ধরতে এবার পঞ্জিকার ব্যবহার শুরু করুক রাজ্য পুলিশ। তাঁর দাবি, এভাবেই রাজ্যের মানুষকে সর্বাধিক সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব। নেপথ্যে বেশ কিছু যুক্তিও সাজিয়েছেন তিনি। বিগত কয়েক বছরে অপরাধ দমনে বিশেষ ভাবে সক্রিয় হয়েছে যোগীরাজ্যের পুলিশ, এমনটা দাবি করেন সে রাজ্যের সরকার। আগামী দিনে সেই ধারাই বজায় রাখতে চান বিজয়। এ প্রসঙ্গে তাঁর পর্যবেক্ষণ, কখন এবং কোথায় বেশি অপরাধ হচ্ছে তা শনাক্ত করতে পারলেই, তা নিয়ন্ত্রন করা সহজ হবে। তাঁর কথায়, সে রাজ্যে মূলত অমাবস্যার এক সপ্তাহ আগে ও পরেই অপরাধের প্রবণতা বাড়তে শুরু করে। তাই রাজ্য পুলিশকে তিনি পঞ্জিকা দেখে মাসের কোনদিন অমাবস্যা রয়েছে তা আগে থেকেই চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেম। সেইমতো ওই বিশেষ দিনগুলিতে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে। এছাড়াও তাঁর পর্যবেক্ষণ। মূলত রাতের বেলাতেই অপরাধ বেশি হয়। খুন, ধর্ষন কিংবা ছিনতাই-এর মতো ঘটনা দিনের আলোয় হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই রাতের অন্ধকারকেই বেছে নেয় অপরাধীরা। আর অমাবস্যার আগে ও পরে চাঁদের আলো কম থাকায় সেই সুযোগকে আরও বেশি করে কাজে লাগানো হয়ে বলেই মনে করেছেন ডিজিপি। তাই এইদিন গুলোতে রাত্রিকালিন নিরাপত্তায় আরও জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: মোদি নন! ২০২৪-এ দেশ পাবে মহিলা প্রধানমন্ত্রী, জ্যোতিষীর পর দাবি ধর্মগুরুরও
শুধু তাই নয়, রাজ্যের কোন কোন জায়গায় অপরাধ প্রবণতা বেশি সেগুলিও চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেইসব জায়গাতেও নিরাপত্তা বাড়ানোর দিকে জোর দিতে বলা হচ্ছে। এইসব দিকে কড়া ব্যবস্থা নিলেই, আগামী দিনে অপরাধের হার যথেষ্ট কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করেছেন রাজীব। তবে এহেন নির্দেশ নজিবিহীন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর আগে কোনও সরকারি নথি হিসেবে পঞ্জিকার ব্যবহার কেউ ভাবেননি। তবে যোগীরাজ্যে ঠিক তেমনটাই এবার হতে চলেছে।