বাড়তে বাড়তে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেছে বাজারে টম্যাটোর দাম। এই পরিস্থিতিতেই টম্যাটো চুরির অভিযোগ জমা পড়ল পুলিশের কাছে। খেত থেকে চুরি গিয়েছে ৫০ কেজি টম্যাটো, এই অভিযোগে খোদ পুলিশের দ্বারস্থ হলেন দিশেহারা কৃষক। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
এককালে নাকি অনুষ্ঠানে গোলমাল বাঁধলেই ছোড়া হত পচা টম্যাটো। এই সময়ে অবশ্য সেসব ভাবাই যাচ্ছে না। টম্যাটোর দাম বর্তমানে এমন জায়গায় ঠেকেছে যে কিনতে গেলে কার্যত ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তের। সুতরাং কোনোভাবে টম্যাটো নষ্ট করার তো প্রশ্নই নেই। সেই একই ভাবনা অবশ্য কৃষকদেরও। কথায় বলে না, কারও সর্বনাশ আর কারও পৌষমাস। বাজারে আগুন লাগায় মধ্যবিত্তের কপালে যেমন চিন্তার ভাঁজ বেড়েছে, তেমনই উলটো দিকে একটু বাড়তি লাভের আশায় বুক বেঁধেছেন বিক্রেতারা। দু-তিন মাস আগে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ইত্যাদি রাজ্যে কৃষকরা দাম না পেয়ে রাস্তায় টম্যাটো ফেলে দিচ্ছিলেন। কিন্তু এখন টম্যাটো চাষিরাই কার্যত হাতে স্বর্গ পেয়েছেন। তা এই অবস্থায় যদি সেই বহুমূল্য ধন নিয়েই টানাটানি পড়ে, তাহলে তো ভেঙে পড়ারই কথা। আর তেমনটাই ঘটেছে এই কৃষকের সঙ্গে। এই পরিস্থিতিতেই তাঁর খেত থেকে চুরি হয়ে গিয়েছে প্রচুর পরিমাণ টম্যাটো। এক দুই নয়, একেবারে ৫০ কেজি। বাজারের হিসেবে যা থেকে অন্তত দেড় লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা ছিল ওই কৃষকের। তাই এই বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ে খোদ পুলিশেরই দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: মাত্র ১ টাকা দিন! ঘরহারাদের মাথায় ছাদ দিতে সাইকেলে দেশ ঘুরে চাঁদা তুলছেন দুই বন্ধু
ঘটনাটি কর্নাটকের হাসান জেলার গনি সোমানাহল্লি গ্রামের। সোমশেখর নামে ওই কৃষকের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তাঁর চাষের জমি থেকে চুরি হয়ে গিয়েছে ৫০ কেজি টম্যাটো। ওই কৃষকের পুত্র ধারানি রোজকার মতোই সকালে জমিতে গিয়ে দেখতে পান, খেত প্রায় ফাঁকা। শুধু তাই নয়, গাছগুলি থেকে তাড়াহুড়ো করে টম্যাটো তুলে নিতে গিয়ে সব গাছই নষ্ট করে ফেলেছে চোর। ওই কৃষক জানিয়েছেন, ২ একর জমি রয়েছে তাঁর। ভারী বৃষ্টির কারণে গত তিন বছরে অন্য ফসল চাষ করতে পারেননি। চলতি বছরে কষ্টেসৃষ্টে টম্যাটো চাষ করেছিলেন। কিন্তু সেই টম্যাটোই চুরি হয়ে যাওয়ার দরুন বিপাকে পড়েছে ওই কৃষকের গোটা পরিবার।
আরও শুনুন: যুদ্ধের বীভৎসতার মাঝেই জন্ম বিরিয়ানির… নেপথ্যে কোন কাহিনি?
দিশেহারা কৃষককে অবশ্য সুবিচার মিলবে বলে সান্ত্বনা দিয়েছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় মামলা রুজু করে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।