রামের নামে মুছবে ধর্মের ভেদ। মুসলমান দেশে নিমন্ত্রণ পাঠিয়ে সেই বার্তা আগেই দিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এবার সম্প্রীতির নজির ধরা পড়ল ভাষাতেও অযোধ্যার হিন্দু পীঠে থাকছে আরবি ভাষারও। এই ভাষায় ঠিক কী লেখা থাকবে সেখানে? আসুন শুনে নিই।
নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান। ভারতবর্ষের এই উপমা নতুন করে প্রতিষ্ঠা পাবে, অযোধ্যার রাম মন্দিরে। কিছুদিনের মধ্যেই রাজকীয় অনুষ্ঠানে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা। শুধু হিন্দু নয়, অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন জাতি ধর্মের মানুষজন। ভাষা সংস্কৃতি সবেতেই থাকবে বৈচিত্র। কারও যাতে কোনওরূপ অসুবিধা না হয়, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
আরও শুনুন: রাম মন্দির উদ্বোধনে লঙ্ঘিত হচ্ছে সনাতন ধর্ম, শঙ্করাচার্যের যুক্তিই ঢাল কংগ্রেসের
আসলে, রামমন্দির উদ্বোধনকে সাধারণ অনুষ্ঠান বলা চলে না। বিরোধীদের দাবি, এই অনুষ্ঠানকে সামনে রেখেই ২৪-র ভোটব্যাঙ্ক ভরাবে বিজেপি। আবার গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই মন্দির আগামী দিনে ভারতবর্ষের সংস্কৃতির পরিচায়ক হয়ে উঠবে। তাই উদ্বোধন উপলক্ষেও একাধিক ব্যবসস্থা নেওয়া হয়েছে। নিমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে কয়েক হাজার। তালিকায় মুসলিম দেশের অভ্যাগতরাও রয়েছেন। সেইসব অতিথিদের অযোধ্যা ঘুরে দেখতে কোনও অসুবিধা যেন না হয়, সেই ব্যবস্থাও আগেভাগেই সেরেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেখানে হিন্দু-মুসলিম কোনও ভেদাভেদ রাখা হয়নি। আসলে, রাম মন্দির ছাড়াও অযোধ্যায় একাধিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এই আবহে সেই সমস্ত জায়গায় নতুন ভাবে সাজানো হচ্ছে। রাম মন্দিরে দর্শন সেরে সবাই যেন সেইসব জায়গাও একবার করে ঘুরে দেখেন তা চাইছেন অযোধ্যাবাসীরা। কিন্তু সেসব চিনতে অসুবিধা হতেই পারে। তাই রাম-নগরী জুড়ে বসছে একাধিক সাইনবোর্ড। সবই দিক নির্দেশের জন্য। কিন্তু সেইসব অন্যান্য সাধারণ বোর্ডের মতো নয়। কারণ এই দিকনির্দেশের বোর্ডগুলিতে একইসঙ্গে লেখা থাকবে ২২ টি ভাষা। বুঝতেই পারছেন কারণটা আর কিছুই না, সকলের সুবিধা করা। বাংলা,আরবি, ইংলিশ, হিন্দি, ওড়িয়া… সবই থাকছে অযোধ্যার এদিক ওদিক ছড়ানো দিকনির্দেশ বোর্ডগুলিতে। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে রাষ্ট্রসংঘ দ্বারা স্বীকৃত ৬ টি কাজের ভাষাও থাকছে।
আরও শুনুন: রাম অযোধ্যায় না ফিরলে পরবেন না জুতো, ভরতের শপথ নিয়েই ৫০০ বছর কাটান গ্রামবাসীরা
এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে ছোটখাটো মন্দির সব জায়গাতেই চোখে পড়বে এই বিশেষ বোর্ড। এমনকি রাস্তার মোড়েও থাকবে এই দিকনির্দেশ। যাতে অযোধ্যায় কোনওভাবেই অসুবিধা না পড়তে হয় দেশ বিদেশের অতিথিদের। তবে রাম মন্দির উদ্বোধনের মতো বিরাট আয়োজন সফল করে তোলা যেমন সরকারের দায়িত্ব, তেমনই সাধারণ মানুষেরও। ইতিমধ্যেই রিকশা চালক থেকে হোটেলকর্মীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শামিল করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এবার এই বিভিন্ন ভাষার সাইনবোর্ডও সেই কাজে কিছুটা সাহায্য করবে বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।