ফের উসকে উঠল মন্দির বিতর্ক। এবার নিশানায় টিপু সুলতান। মন্দিরের জমিতে প্রাসাদ গড়েছিলেন অষ্টাদশ শতকের এই মুসলিম শাসক, এমন দাবিতে সরব হল হিন্দুত্ববাদী সম্প্রদায়। দাবি জানাল সমীক্ষারও। কী ঘটেছে ঠিক? শুনে নিন।
মন্দির বিতর্কে উত্তাল গোটা দেশ। একাধিক ইসলামিক স্থাপত্য নিয়ে বারবার সরব হয়েছে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সম্প্রদায়। কোনও না কোনও হিন্দু মন্দিরের চত্বরে গড়ে উঠেছে ইসলাম যুগের এইসব স্থাপত্য, এমনই অভিযোগ তাদের। আর এবার সেই একই অভিযোগের তির ধেয়ে এল ইংরেজ শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করা টিপু সুলতানের দিকেও। মন্দিরের জমিতে প্রাসাদ গড়েছিলেন অষ্টাদশ শতকের এই মুসলিম শাসক, এমনই দাবি তুলে সরব হয়েছে একটি হিন্দুত্ববাদী সম্প্রদায়।
আরও শুনুন: তাজমহল চত্বরে নমাজ পড়ার অভিযোগ, গ্রেপ্তার চার পর্যটক
অষ্টাদশ শতকে মহীশূরের শাসক ছিলেন টিপু সুলতান। সে সময়ের ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন তিনি। যুদ্ধ করতে করতেই মৃত্যু হয় তাঁর। এহেন টিপু সুলতানের দিকেই এবার অভিযোগের আঙুল তুলল মন্দির পক্ষ। ঠিক কী বলেছে তারা?
কর্ণাটকের শ্রীরঙ্গপত্তনম শহরে টিপু সুলতানের একটি প্রাসাদ রয়েছে। জানা যায়, সেটি ছিল তাঁর গ্রীষ্মকালীন আবাস। কিন্তু এই প্রাসাদটি আসলে মন্দিরের জমিতে তৈরি হয়েছে, এমনই দাবি তুলেছে হিন্দু জনজাগৃতি সংঘ নামের একটি হিন্দুত্ববাদী সম্প্রদায়। তাদের অভিযোগ, ওই জমির মালিকানা আদতে ছিল কোটে বেঙ্কটরমন মন্দিরের। কারও কারও মতে, সেখানে বেদচর্চা করা হত। কিন্তু টিপু সুলতানের শাসনকালে সেই জমিটি অধিগ্রহণ করা হয় বলে দাবি করেছে ওই গোষ্ঠী। এই দাবির যাথার্থ্য প্রমাণ করার জন্য সমীক্ষা করা হোক, এবং আসল মালিকের হাতেই জমি ফিরিয়ে দেওয়া হোক, এই দাবিতে অনড় হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীটি।
আরও শুনুন: কুতুব মিনার চত্বরে আগে মন্দির, পরে মসজিদ! ASI-এর পুরনো রিপোর্টে ছিল কোন তথ্য?
কর্ণাটক পরিবহণ বিভাগ জানিয়েছে, ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয়েছিল এই প্রাসাদ নির্মাণের কাজ। এদিকে বেঙ্কটরমন স্বামীর মন্দির গড়ে উঠেছিল পনেরো শতকে, অর্থাৎ এর শ-তিনেক বছর আগেই। মন্দিরের ফলক থেকে এ কথাও জানা যায়, মহীশূরের শাসক টিপু সুলতান, এমনকি তাঁর পিতা হায়দার আলি উভয়েই এই মন্দিরের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির নজির গড়েছিল এই মন্দির, এমনটাই দাবি করা হয়েছে ওই ফলকে। কিন্তু শ্রীরঙ্গপত্তনমের মসজিদ-এ-আলা আসলে হনুমান মন্দির ছিল, সম্প্রতি এমন দাবি করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তারপরেই ফের উসকে উঠল এই নয়া বিতর্ক।