অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী এস্থার ডাফলো। তিন নোবেল বিজয়ীর দেখা পাওয়া গেল একই ছবিতে। এই ছবিটি প্রসঙ্গে কী জানালেন অমর্ত্য-কন্যা নন্দনা?
দুজন নোবেলবিজয়ীর সঙ্গে এর আগে লাঞ্চ সেরেছেন তাঁরা। কিন্তু একইসঙ্গে তিনজন নোবেল লরিয়েট? নাহ, সৌভাগ্যের এমন বাড়াবাড়ি তাঁদেরও আগে হয়নি। জানাচ্ছেন নন্দনা সেন।
সম্পর্কে তিনি অমর্ত্য সেনের ছোট মেয়ে। পেশায় অভিনেত্রী, লেখিকা এবং সমাজকর্মী। বাবার সূত্রে বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের বাড়িতে আসা যাওয়া তাঁর কাছে নতুন কিছু নয়। কিন্তু সম্প্রতি তাঁদের অতিথি হয়েছিলেন আরও দুই নোবেল বিজয়ী। তাঁরা অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী এস্থার ডাফলো। তিন নোবেলজয়ীর ছবিটি সোশাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন নন্দনা। ছবিটি তুলেছেন তাঁর জীবনসঙ্গী, জন ম্যাকিনসন।
আরও শুনুন: লিঙ্গসাম্যের বার্তা দিয়ে বিজ্ঞাপন তো বদলায়, সমাজের মন কি পালটায়?
অমর্ত্য সেন এবং অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুজনেই অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করেছেন। ঘটনাচক্রে অভিজিৎ, অমর্ত্য সেনের ছাত্র-ও। তাঁর বাবা, প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের জনপ্রিয় অধ্যাপক দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় আর অমর্ত্য সেন একসময় সহকর্মী ছিলেন। অভিজিতের মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করতে পারেন, অভিজিতের দেড় বছর বয়স থেকেই তাঁকে চেনেন অমর্ত্য। অমর্ত্য সেনের প্রথম স্ত্রী, প্রয়াত কবি নবনীতা দেবসেনেরও প্রিয় পাত্র তিনি। নবনীতার মৃত্যুর কিছুদিন আগেও কলকাতায় আসার সুবাদে তাঁর সঙ্গে দেখা করে গিয়েছিলেন অভিজিৎ। ৬০ বছরের অর্থনীতিবিদ তাঁকে ডাকতেন ‘মাসি’ বলে। নন্দনার কাছে তিনি অবশ্য কেবল নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় নন, তিনি তাঁর কাছে ডাকনামেই পরিচিত। ‘ঝিমাদা’ বলেই অভিজিৎকে ডাকেন নন্দনা।
৮৭ বছর বয়স্ক অমর্ত্য সেন নোবেল পুরস্কার পান ১৯৯৮ সালে। মানবকল্যাণমূলক অর্থনীতিতে তাঁর অবদানের জন্য। আর ২০১৯ সালে একই পুরস্কার হাতে ওঠে তাঁর এই প্রিয় ছাত্রের। অভিজিৎ বিনায়ক, এস্থার ডাফলো এবং মাইকেল ক্রেমার একসঙ্গে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান সে বছর। বিশ্বে দারিদ্র্য দূর করা যায় কীভাবে, তা খতিয়ে দেখা এবং সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার উদ্দেশ্যেই ছিল তাঁদের এই গবেষণা। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকেও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন অভিজিৎ।