‘বিকশিত ভারত যাত্রা’ তো ভারত সরকারের উদ্যোগ। তাতে থাকা উচিত দেশের কথা, দেশের সরকারের কথা। তাহলে কেন শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে হচ্ছে প্রচার? এই আপত্তিতেই ‘সংকল্প রথ’ থামালেন মহারাষ্ট্রের গ্রামবাসীরা। ঘটনায় কী প্রতিক্রিয়া শাসকদলের? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
পোশাকি নাম ‘বিকাশ ভারত সংকল্প রথ’। উজ্জ্বল এলইডি-তে প্রচারিত হচ্ছে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধার কথা। কিন্তু সেখানে সব আলো কেড়ে নিচ্ছে ‘মোদির গ্যারান্টি’। কিছুদিন আগে পাঁচ রাজ্যের ভোটে এই শব্দবন্ধই ছিল গেরুয়া শিবিরের প্রচারের তুরুপের তাস। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর মুখেও শোনা গিয়েছিল একই কথা। সেই কথা কেন ফিরে আসছে সরকারি প্রকল্পের সাফল্য প্রচারে? এই প্রশ্নেই আপত্তি জানালেন মহারাষ্ট্রের এক গ্রামের বাসিন্দারা।
-: আরও শুনুন :-
ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের বুলদানা জেলার একটি গ্রামে। সংকল্প রথ আসলে একটি সুসজ্জিত ভায়ন, যেখানে ‘মোদি সরকার’ এবং ‘মোদির গ্যারান্টি’ ইত্যাদি শব্দগুলি ছিল প্রচারে। আর তাতেই আপত্তি জানান গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন অভয়সিং মারোডে। তিনি জানিয়েছেন, কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে তিনি কথা বলছেন না। তবে, তাঁর বক্তব্য হল, এই যে প্রচার অভিযান, তা তো মূলত সরকারি প্রকল্পের। তাহলে সেখানে ‘মোদির গ্যারান্টি’ কথাটি ব্যবহার করা কেন হচ্ছে? তাঁর আরও প্রশ্ন, ভারত সরকারের কথা কেন জোর দিয়ে বলা হচ্ছে না? অভয়সিংয়ের মতে, যা সরকারি প্রচার, সেখানে যদি একজনেরই নাম ব্যবহৃত হয়, তাহলে তার গ্রহণযোগ্যতা ধাক্কা খায়। তা ছাড়া করদাতাদের টাকায় কেন ব্যক্তিপ্রচার করা হচ্ছে, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। সেই সঙ্গে স্পষ্ট করে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, স্রেফ বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা তিনি করছেন না। কয়েকটি যুক্তিপূর্ণ প্রশ্ন তুলছেন মাত্র।
এই সংকল্প রথ ঘোরানোর উদ্দেশ্য ছিল, সরকারের নানা সুযোগ-সুবিধার কথা বর্ণনা করা। প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দাদের জানিয়ে দেওয়া কোন কোন সুবিধা তাঁরা পেতে পারেন। কোন প্রকল্পের আওতাভুক্ত তাঁরা হতে পারেন, তা যাতে সহজে বোঝা যায়, সেই কারণেই এই প্রচার। তবে, কোনও জায়গায় এই যাত্রা বাধা পেয়েছে নানা কারণে। এই ঘটনাটির কথা তাই অস্বীকার করেননি বিজেপি মুখপাত্র কেশব উপাধ্যায়। তবে, তিনি জানিয়েছেন বিচ্ছিন্ন বাধা এলেও, মোটের উপর এই যাত্রা সফল। দূরদূরান্তের গ্রামের মানুষদের কাছে সরকারি প্রকল্পের কথা ঠিক ভাবেই তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে।