তাঁরা সকলেই স্বনামধন্য কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। আবার তাঁরাই ফটোশ্যুটে ধরা দিয়েছেন একেবারে নগ্ন হয়ে। এই দুটি বিষয়কে পাশাপাশি রেখে মেলাতে গিয়ে অনেকেই চোখ কপালে তুলছেন। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা? নেপথ্যের কারণটি কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আসুন, শুনে নিই।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তাঁরা। সংখ্যায় প্রায় ৭৮ জন। কিন্তু যে কারণে তাঁরা খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তা বেশ চমকপ্রদ। কী করেছেন তাঁরা? না, সকলেই নগ্ন হয়ে ফটোশ্যুট করেছেন। সেই ছবি বিক্রি হবে ক্যালেন্ডার হয়ে। তা হঠাৎ এরকম একটা ক্যালেন্ডারের জন্য কেন ঝাঁপিয়ে পড়লেন এই পড়ুয়ারা? কাজটা তো মোটেও সহজ নয়।
আরও শুনুন: এ কেমন সাজ! মরণাপন্ন কোভিড রোগীর সাজে পোজ দিয়ে বিতর্কে মডেল
ইতোমধ্যে যে কটি ছবি সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রত্যেক পড়ুয়াই নগ্ন। তাঁদের গোপনাঙ্গ ঢাকা বিভিন্ন জিনিসে। ছাত্রীরা কেউ কেউ টাওয়েল দিয়ে খানিকটা নগ্নতা আড়াল করেছেন। আর ছাত্ররা তাঁদের গোপনাঙ্গ ঢেকেছেন বল বা এই জাতীয় খেলার উপকরণে। মোট ১২টি দলে বিভক্ত হয়েছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের কেউ নেটবল, কেউ জিমন্যাসটিক্স বিভাগের। সংশ্লিষ্ট দল তাঁদের সরঞ্জাম দিয়েই নগ্নতাকে খানিকটা ঢাকা দিলেও, তাঁরা যে নগ্ন, এই সত্যি গোপন করেননি। ফোটোগ্রাফার অ্যান্ড্রু উইলকিনসন জানাচ্ছেন, খুব সূক্ষ্মতার সঙ্গেই এই ফটোশ্যুট করতে হয়েছে, যাতে নান্দনিকতা কোনও ভাবে ক্ষুণ্ণ না হয়। সেইভাবেই পড়ুয়াদের দাঁড় করিয়ে বা বসিয়ে বিন্যাস করতে হয়েছে, যাতে ছবিগুলি অশ্লীলতার দায়ে না পড়ে।
আরও শুনুন: অনলাইন ক্লাসের সময়ই স্নান, একেবারে নগ্ন হয়ে পড়ুয়াদের সামনে ধরা পড়লেন শিক্ষক
পড়ুয়াদের জন্যও কাজটি ছিল বেশ চ্যালেঞ্জের। তাঁরা তো কেউ ফ্যাশন ফটোগ্রাফিতে অভ্যস্ত নয়। তাই এরকম ভাবে পোজ দেওয়া যে তাঁদের কাছে সহজসাধ্য, তা কোনোভাবেই বলা যায় না। তার উপর ছবিগুলো তোলা হয়েছে শহরের বিভিন্ন বিশিষ্ট জায়গার সামনে। চ্যালেঞ্জ বেশ কড়াই ছিল। ফলত, এই ছবি তোলার জন্য পড়ুয়ারা ভালোমতো প্রস্তুতিই নিয়েছিলেন। নগ্ন হওয়ার আগে জামা-কাপড় পরেই তাঁরা একাধিকবার পোজ দেন, যাতে ছবিগুলো নিখুঁত ও সুন্দর হয়। তারপরই হয় চূড়ান্ত নগ্ন ফটোশ্যুট। এ জন্য অবশ্য তাঁদের অনুমতিও নিতে হয়, এবং তাঁরা তা পাওয়ার পরই এই কাজে হাত দিয়েছেন।
শুনে নিন বাকি অংশ।