ভোটের ফল পছন্দ না হলেই কারচুপির অভিযোগ ওঠে। যে প্রার্থীরা হারলেন, তাঁরাই সরব হন। কমিশনের তরফে অবশ্য পুনরায় গণনার নিয়ম রয়েছে। কোন নিয়মে হয় এই গণনা? খরচই বা কত? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অবাক করেছে। অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষার হিসাব মেলেনি। যে প্রার্থীরা আগেভাগেই জেতার আনন্দে মেতেছিলেন, তাঁদের বেহাল অবস্থা। এই আবহে গণনায় কারচুপির অভিযোগ উঠতেই পারে। সেক্ষেত্রে অভিযোগের আঙুল উঠবে কমিশনের দিকে। তাই আগেভাগে বিশেষ ব্যবস্থা সেরে রেখেছে নির্বাচন কমিশন।
আরও শুনুন: কারচুপি রুখতে একজোট রাজনৈতিক দলগুলো, কোন সতর্কতায় চলে ভোটগণনা?
আসলে, ভরতে নির্বাচন আয়োজন করা মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। এত বড় দেশ, এত সংখ্যক ভোটার, প্রার্থীর সংখ্যাও কম নয়! সবকিছু সুষ্ঠভাবে আয়োজন করা বেশ কঠিন। তাও বছরের পর বছর ধরে সেই দায়িত্ব পালন করে আসছে নির্বাচন কমিশন। চলতি লোকসভা নির্বাচনেও বিশেষ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছিল কমিশনের তরফে। গরমে ভোটারদের যেন অসুবিধা না হয়, তার একাধিক ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রতিটি বুথই তৈরি করা হয়েছিল বিশেষভাবে। মোট সাত দফায় দেশজুড়ে নির্বাচন চলেছে। সেইভাবে মারাত্মক অশান্তির ঘটনাও হয়নি বলা চলে। পাশাপাশি ভোট কারচুপি রুখতেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল কমিশন। তবে স্রেফ ভোট নয়, গণনার ক্ষেত্রেও নিরাপত্তার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। এমনিতে কমিশনের নিয়মে যেভাবে গণনা হয়, তাতে কারচুপির সম্ভাবনা নেই। তাও পরাজিত প্রার্থী সেই অভিযোগ তুলতেই পারেন। সেক্ষেত্রে পুনরায় গণনা হয়। সবটা অবশ্যই নয়, যে প্রার্থী অভিযোগ তুলবেন তাঁর কেন্দ্রেই পুনরায় গণনার ব্যবস্থা হবে। তবে এমনি এমনি অভিযোগ জানালে হল না। তার জন্য দিতে হবে টাকাও।
আরও শুনুন: স্বামীর জয় নিশ্চিত ভেবে মন্দিরে স্ত্রী, অথচ সেই ১ ভোটেই হেরে যান নেতা
চলতি নির্বাচনে পুনর্গণনার জন্য ৪০হাজার টাকা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে। সঙ্গে যোগ হবে জিএসটি। সেক্ষেত্রেও নিয়ম রয়েছে। সম্পূর্ণ গণনা শেষ হলেই পুনর্গণনার দাবি তোলা যাবে। নিয়ম অনুযায়ী, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে থাকা প্রার্থীরাই কেবল গণনার দাবি জানাতে পারেন। নতুন করে খতিয়ে দেখা হবে প্রতিটি ইভিএম। সেইসঙে ব্যালট ইউনিট, ভিভিপ্যাট, সবই দেখা হয় নতুন করে। আর সেখানে যদি দেখা যায়, সত্যিই গরমিল হয়েছে তাহলে ওই টাকা পরাজিত প্রার্থীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ভোটের ফলও নতুন করে ঘোষণা হয়। ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনার উদাহরণ রয়েছে। চলতি নির্বাচনেও তার পুনরাবৃত্তি হয় কি না, ফল ঘোষণার পরই তা জানা যাবে।