মন্দির প্রতিষ্ঠা বেশি হলেই, হিন্দুরা অন্য ধর্মে যাবেন না। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এমনটাই দাবি দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দাদের। কী কারণে আয়জন হয়েছিল এমন সমীক্ষার? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
যত বেশি মন্দির তৈরি হবে, ধর্মান্তরের হার কমবে ততই। এমনই মত ছড়াচ্ছে দক্ষিণ ভারতে। মতের স্বপক্ষে যুক্তিও রয়েছে। যা প্রমাণ করছে হিন্দু ধর্মে মন্দিরের গুরুত্ব ঠিক কতটা। আসলে, দক্ষিণের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ৩২০টি হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন হতে চলেছে শীঘ্রই। সেই মন্দির তৈরিকে কেন্দ্র করেই আয়োজন হয়েছিল এক সমীক্ষার। যেখানে উঠে এসেছে মন্দিরের স্বপক্ষে একাধিক যুক্তি।
আরও শুনুন: শুধু আবু ধাবি নয়, ভারতের বাইরে রয়েছে আরও হিন্দু মন্দির
জানুয়ারির শেষে রামমন্দির উদ্বোধন ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল গোটা দেশেই। মন্দির উদ্বোধনের কয়েক সপ্তাহ পেরোলেও ভক্তদের ঢল একইভাবে চোখে পড়ছে অযোধ্যায়। এই আবহে সামনে এল দক্ষিণ ভারতের একগুচ্ছ হিন্দু মন্দিরের কথা। জানা গিয়েছে, তিরুমালা তিরুপতি দেবাস্থানাম-এর উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে ৩২০টি হিন্দু মন্দির। যার জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ২৬ কোটি টাকা। মন্দিরগুলি মূলত হবে গ্রামের দিকে। বিশেষ করে, আদিবাসী, অনগ্রসর শ্রেণী কিংবা জেলেদের গ্রামেই তৈরি হবে নতুন হিন্দু মন্দির। মনে করা হচ্ছে, মন্দির তৈরি হলে গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা আর ধর্ম পরিবর্তনের কথা ভাববেন না। নিয়মিত হিন্দু মন্দুরে পুজো পাঠ করলে তাঁরাও হিন্দু ধর্মের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠবেন। এ ব্যাপারে আরও নিশ্চিত হতেই ওইসব গ্রামের মানুষদের মধ্যে বিশেষ সমীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই ধরা পড়েছে, ধর্মান্তর না হওয়ার অনুমান যারপরনায় সঠিক।
আরও শুনুন: সোনার ছেনি, রুপোর হাতুড়িতেই রামলালার ঐশ্বরিক চোখ গড়েছিলেন অরুণ
প্রায় ৫০ টি প্রশ্নের ওই সমীক্ষায় মূলত বুঝতে চাওয়া হয়েছিল, মন্দির তৈরিতে স্থানীয় মানুষজন আদৌ খুশি কি না। তাতেই দেখা গিয়েছে, এলাকার সকলেই নতুন হিন্দু মন্দির তৈরিতে বেজায় খুশি হয়েছেন। সংস্থার দাবি, নিজের এলাকায় মন্দির হলে নিয়মিত পুজোপাঠ, ভজন, কীর্ত্তণ করতে পারবেন সকলেই। এমনিতে অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষজন সেইভাবে সমাজের মূলশ্রোতে মেশার সুযোগ পেতেন না। ইচ্ছা থাকলেও হিন্দু ধর্মের উৎসবে শামিল হতেও পারতেন না অনেকেই। যার অন্যতম কারণ ছিল এলাকায় মন্দিরের অভাব। তবে এবার সেই সমস্যা মিটবে নতুন মন্দির তৈরি হলে। এমনকি বিভিন্ন উৎসবেও ভেদাভেদ ভুলে অংশগ্রহণ করতে পারবেন স্থানীয় সকলেই। কাজেই এমনটা হলে হিন্দু ধর্ম বদলের ভাবনা তাঁদের মাথায় আসবে না বলেই দাবি করছেন সংস্থার কর্তারা।