হিন্দুদের দেওয়া ট্যাক্সের টাকা, হিন্দুদের উন্নয়নেই ব্যবহার করা হোক। সম্প্রতি, এমনই দাবি তুলে বিতর্ক উসকে দিলেন কর্নাটকের বিজেপি নেতা। ঠিক কোন প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করলেন তিনি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
হিন্দুদের টাকা হিন্দুদের কাজেই লাগানো হোক। ঠিক এমনই দাবি কর্নাটক বিজেপি নেতার। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি সাফ জানিয়েছেন, হিন্দুরা যে ট্যাক্স দেয় সেই টাকা শুধুমাত্র হিন্দুদের উন্নয়নের স্বার্থেই ব্যবহার করা হোক। এমনকি, এর নেপথ্যে বিশেষ যুক্তিও খাড়া করেছেন তিনি।
আরও শুনুন: দক্ষিণে কি পদ্ম ফোটাতে পারবেন মোদি? কী বলছেন দেশের মানুষ?
বাজেট অধিবেশন ঘিরে সরগরম গোটা দেশের রাজনীতি। আগামী অর্থবর্ষে আয়করের ক্ষেত্রে কী কী পরিবর্তন আসছে, তা ইতিমধ্যেই ঠিক হয়ে গিয়েছে। সামনে এসেছে নতুন কিছু প্রকল্পের কথাও। বেশ কিছু ক্ষেত্রে অসমর্থন জানিয়েছেন বিরোধী শিবির। এই আবহে, ধর্মের প্রসঙ্গ টেনে বিশেষ মন্তব্য করতে শোনা গেল কর্নাটকের বিজেপি বিধায়ক হরিশ পুঞ্জা-কে। তাঁর দাবি, আগামী অর্থবর্ষ থেকে হিন্দুদের দেওয়া ট্যাক্সের টাকায় স্রেফ হিন্দুদেরই উন্নয়ন হোক। হিন্দুদের দেওয়া করের টাকায় অন্য ধর্মের মানুষদের উন্নতি হওয়া একেবারেই অনুচিত বলেই মনে করছেন ওই নেতা। তাই এই টাকায় অহিন্দু কারও উন্নয়ন না হওয়ার নিদান দিয়েছেন তিনি। বলাই বাহুল্য, বিজেপি নেতার কথায় ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখে এমন মন্তব্যের কারনও ব্যাখ্যা করতে হয়েছে তাঁকে।
আরও শুনুন: রাষ্ট্রের ‘রা’ আর মাতার ‘মা’ মিলে ‘রামা’, এই নামেই গরুকে ডাকতে চান সন্ন্যাসীরা
তবে এই মন্তব্যের জন্য কোনও অনুশোচনা নেই বলেই সাফ জানিয়েছেন হরিশ। বরং এমন মন্তব্য করে কোনও ভুল করেননি বলেই দাবি বিজেপি নেতার। তাঁর কথায়, এই মন্তব্যের আসল উদ্দেশ্য কংগ্রেসকে বার্তা দেওয়া। বিজেপি নেতা মনে করছেন, ভারতবর্ষকে উত্তর-দক্ষিনে আলাদাভাবে ভাগ করতে চাইছে কংগ্রেস। যা কোনওভাবেই হতে দেওয়া যায় না। এ প্রসঙ্গে নেতার দাবি, ট্যাক্সের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা নেওয়া হলে কংগ্রেসের দেশভাগের উদ্দেশ্য সফল হবে না। কীভাবে এই ট্যাক্সের টাকা আলাদাভাবে চিহ্নিত হবে সেই ব্যখ্যাও দিয়েছেন হরিশ নিজেই। তাঁর সাফ দাবি, পদবী দেখে হিন্দুদের চেনা যায়। তাই হিন্দুদের দেওয়া ট্যাক্সের পরিমাণ ঠিক করতে বা আলাদাভাবে চিহ্নিত করতেও তেমন অসুবিধা হবে না। একবার চিহ্নিত করে ফেললেই সেই টাকা স্রেফ হিন্দুদের উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে। তাই অবিলম্বে এই ব্যবস্থা চালু করার কথা বলেছেন বিজেপি নেতা হরিশ। যদিও তাঁর এই মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি কংগ্রেস। তাঁকে পালটা জবাব দিয়েছেন কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সবমিলিয়ে বিজপি নেতার এই মন্তব্য ঘিরে সরগরম কর্নাটকের রাজনীতি।