কোনও ভাবেই যেন দেহের গড়ন বোঝা না যায়। তাই বাধ্যতামূলক ভাবে ওভারকোট পরতে হবে শিক্ষকদের। সম্প্রতি এমনই নির্দেশ জারি করল তামিলনাড়ু সরকার। যে নির্দেশিকা ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই উসকে উঠেছে বিতর্ক। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
সম্প্রতি কলেজের শিক্ষকদের জন্য নয়া পোশাকবিধি জারি করেছে তামিলনাড়ু সরকার। বলা হয়েছে, ক্লাস নেওয়ার সময় বাধ্যতামূলক ভাবে ওভারকোট পরতে হবে শিক্ষকদের। এই মর্মে সে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দপ্তর। এই নির্দেশিকা ঘিরে কার্যত দুভাগে বিভক্ত শিক্ষকমহল।
আরও শুনুন: তরুণীর পেট থেকে উদ্ধার ৪ ফুট লম্বা সাপ! অপারেশনের সময় তাজ্জব চিকিৎসকরাও
সূত্রের খবর, সম্প্রতি উচ্চ শিক্ষা দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি পি ধনশেখরের তরফে Directorate of Technical Education বা DOTE-কে চিঠি পাঠানো হয়। এছাড়াও সমস্ত রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারদেরও চিঠি পাঠান তিনি। সেই চিঠিতেই এই পোশাকবিধি মানার ক্ষেত্রে যাবতীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠি পাওয়ার পর তামিলনাড়ুর বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পোশাকবিধি নিয়ে আলাদা আলাদা করে নির্দেশিকা জারি করে। নির্দেশিকায় পুরুষ ও নারী ভেদাভেদ না থাকলেও সংশ্লিষ্ট মহলের সূত্রে খবর, মহিলাদের দেহের গড়ন ঢেকে রাখতে সহায়ক হবে এই নির্দিষ্ট পোশাক। আর তাতে মহিলারাই স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন বলে মত ওই মহলের একাংশের। বস্তুত একই সুর শোনা গিয়েছে সে রাজ্যের কলেজের অধ্যক্ষদের সংগঠনের তরফে। ওই সংগঠনের বিবৃতিতে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে রীতিমতো সাধুবাদ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, একই পোশাকবিধি শিক্ষকদের মধ্যে সমন্বয় সাধনের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলেও মনে করছেন তাঁরা। তামিলনাড়ুর উচ্চ শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি বেসরকারি কলেজে এই পোশাকবিধি রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা পোশাকবিধি বলবৎ রয়েছে। কিন্তু সরকারি তরফে তেমন কোনও ভেদ রাখা হয়নি বলেই জানিয়েছেন আধিকারিকেরা।
আরও শুনুন: জঙ্গিহানা নয়, প্রেম-পরকীয়া-যৌনতার ছুরির কোপেই খুন বেশি মানুষ! বলছে সমীক্ষা
তবে অনেকে এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেও, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত নন শিক্ষাবিদদের একাংশ। তাঁদের মতে, কেউ কী ধরনের পোশাক পরবেন, তা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেক্ষেত্রে সরকার কোনও নির্দেশিকা দিতে পারে না। প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষকদের উপরে এহেন নির্দেশিকা চাপিয়ে দেওয়াকে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের ঘোরতর পরিপন্থী বলেই মনে করছেন তাঁরা।