জিন্স পরে ঢোকা যাবে না স্কুলে। এমনই নিয়ম। তবে স্রেফ ছাত্রদের জন্য নয়। নিয়ম মানতে হবে শিক্ষকদেরও। পরা যাবে না টি-শার্টও। অমান্য করলে চাকরি যাওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে। কেন এমন নিয়ম? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
স্কুলে গেলে নির্দিষ্ট পোশাক পরেই যেতে হয়। মূলত পড়ুয়াদের জন্যই এমন নিয়ম। তবে বিহারের এক সরকারি স্কুলে একই নিয়ম জারি হয়েছে শিক্ষকদের জন্য। সরাসরি নির্দিষ্ট পোশাক বা ইউনিফর্মের কথা না বললেও, নোটিশ দিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিক্ষকরা জিন্স আর ট-শার্ট পরে স্কুলে আসতে পারবেন না।
পোশাক বিধি এ দেশে নতুন ব্যাপার নয়। এর আগে মন্দিরে এই ধরনের নিয়ম চালু হয়েছে। দেশের বহু জনপ্রিয় মন্দিরে বিবৃতি দিয়ে বলে দেওয়া হয়েছিল, কোন কোন পোশাক পরলে মন্দিরের ভিতরে ঢোকা যাবে না। তালিকায় জিন্স, ফ্রক, বারমুডা ইত্যাদি অনেক পোশাকই ছিল। এবার সেই নিয়ম জারি হল স্কুলে। সম্প্রতি বিহারের এক সরকারি স্কুলে নোটিশ দিয়ে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ জিন্স, টি-শার্ট পরে ঢুকতে পারবে না। পড়ুয়ারা তো বটেই, শিক্ষকদেরও মানতে হবে নিয়ম। একইসঙ্গে স্কুলের অশিক্ষা কর্মীরাও এই নিয়মের আওতায় পড়বেন। কেউ অমান্য করলে কড়া পদক্ষেপ নেবে কর্তৃপক্ষ। এমনটাও সাফ জানানো হয়েছে নোটিশে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাৎ এমন নিয়ম কেন জারি হল ওই স্কুলে?
নেপথ্যে নেহাতই কারণ নেই বললে ভুল হয়। আসলে বিহারের বেশ কিছু স্কুলে শিক্ষকদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পড়ানো ভুলে তাঁরা চটুল গানে রিল বানানো, এমনকি পড়ুয়াদের সঙ্গে ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার মতো কাণ্ড ঘটিয়েছেন। একবার নয়, অভিযোগ উঠেছে বারবার। ধরা পড়লে শাস্তির মুখে পড়েছেন নির্দিষ্ট শিক্ষক বা শিক্ষা কর্মী। তাতেও পাকাপাকি ভাবে এই অরাজকতা বন্ধ করা যায়নি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই শিক্ষকদের জন্যও পোশাকবিধি জারি করল স্কুল কর্তৃপক্ষ। সাধারণ পোশাকে স্কুলে এলে রিল বানানোর মতো কাজ করবেন না তাঁরা, এমনটাই মনে করছে কর্তৃপক্ষ। তবে এই নিয়ে শিক্ষকদের একাংশ বেশ ক্ষুব্ধ। বিশেষ করে যারা এই ধরনের আচরণে অভ্যস্ত নন, তাঁরা জোর করে নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হল বলেই মনে করেছেন। সরাসরি বিরোধিতা না করলেও এই নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে শিক্ষকদের অন্দরমহলে। অনেকে এই পদক্ষেপকে সমর্থনও করেছেন। স্কুলের পরিবেশ ঠিক রাখতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি ছিল বলেই মনে করেছেন তাঁরা।