বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মুহূর্তে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে গোটা দেশ। রেহাই মেলেনি শিশুদেরও। সিরিয়ার ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া এক শিশুর দেহ জড়িয়েই তাকে আদরে ভরিয়ে দিয়েছেন তার বাবা। এমন ছবি দেখে চোখে জল ধরে রাখতে পারেননি নেটিজেনরাও। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বেঁচে নেই শিশুসন্তান। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া দেহের ভিড় থেকে কোনওক্রমে উদ্ধার করা গিয়েছে একরত্তি দেহটুকু। আর সন্তানের মৃতদেহ জড়িয়ে ধরেই তাকে আদরে ভরিয়ে দিচ্ছেন বাবা। শেষবারের মতো এঁকে দিচ্ছেন স্নেহচুম্বন। আর একইসঙ্গে, বাঁধ মানছে না তাঁর চোখের জলও। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়ায় সম্প্রতি চোখে পড়েছে এমনই মর্মস্পর্শী ছবি। যা দেখে চোখে জল ধরে রাখতে পারেননি নেটিজেনরাও।
আরও শুনুন: ‘ধর্ম দিয়ে সিনেমার বিচার করে না দর্শক’, ‘পাঠান’ ইস্যুতে কঙ্গনা রানাউতকে বিঁধলেন অনুপম খের
আসলে, ধ্বংস তো কাউকেই রেয়াত করে না। সে বৃদ্ধ হোক কি শিশু, ক্ষমতাবান হোক কি দুর্বল, ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সকলেই একইরকম অসহায়। ক্ষমতার গর্বে গর্বিত মানুষকে যেন সে কথাই আরও একবার মনে করিয়ে দিল তুরস্ক-সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্প। যে বিপর্যয়ে কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে দুটো দেশ। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন অজস্র মানুষ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। তার মধ্যেই আরও একাধিকবার কেঁপে উঠেছে তুরস্ক, খবর এমনটাই। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া দেহের ভিত্তিতে সরকারি হিসেব জানাচ্ছে, দুই দেশে মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আর সেইসব মৃতদেহের ভিড় থেকেই সামনে এসেছে এই শিশুটির ছবি। সিরিয়ার জিন্দাইরিসের এই নবজাতকের প্রাণ কেড়েছে এই ভূমিকম্প। আর তার দেহ উদ্ধারের পর শিশুটির বাবার প্রতিক্রিয়াই ধরা পড়েছে এক ভিডিওতে। দেখা গিয়েছে, একরত্তি সন্তানের দেহ জড়িয়ে ধরে অঝোরে কেঁদে চলেছেন ওই ব্যক্তি। আর কাঁদতেই কাঁদতেই সন্তানকে একের পর এক স্নেহচুম্বন করে চলেছেন তিনি। তাঁকে সামলাতে পারেননি সঙ্গে থাকা আত্মীয়পরিজনরাও।
আরও শুনুন: হানিমুন ডেস্টিনেশনেই নাকি ডিভোর্সের হার সবচেয়ে বেশি! কী জানাচ্ছে সমীক্ষা?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওটির জেরে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তুরস্ক সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি। সন্তানহারা বাবার হাহাকার দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি নেটিজেনরাও। ওই ব্যক্তিকে সমবেদনা জানিয়েই পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে নেটদুনিয়া।