আদৌ নিজেদের সময় দিতে পারেন? বিচ্ছেদের আবেদন জানানো এক দম্পতিকে এমনই প্রশ্ন করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। সমস্ত আইনি শর্ত মেনে নেওয়ার পরও, ওই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ মামলা কার্যত স্থগিত রাখতে বলেন তিনি। তাঁদের ঠিক কী পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি? আসুন শুনে নিই।
আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানিয়েছিলেন এক ইঞ্জিনয়ার দম্পতি। সমস্ত আইনি শর্তে রাজিও ছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের সেই মামলায় চূড়ান্ত রায়দান কার্যত থেকে বিরত থাকলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি। বরং ওই দম্পতিকে দ্বিতীয়বার ভেবে দেখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: অদ্ভুত! ছাদ নীচে আর মেঝে উপরে, পৃথিবীর মাটিতে কেন তৈরি হয়েছে এমন বাড়ি?
ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর। যে দম্পতির কথা বলছি, এঁরা দুজনেই পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তবে দুজনের কাজের সময় একেবারেই আলাদা। একজন কাজে বেরোন রাতে। আরেকজন সকালে। সম্প্রতি আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা। সেই মামলার প্রসঙ্গেই আদালত তাঁদের দ্বিতীয়বার ভেবে দেখার আর্জি জানিয়েছে। মামলা চলা কালিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সরাসরি ওই দম্পতিকে প্রশ্ন করেন, বিয়ের পর নিজেদের জন্য তাঁদের সময় কোথায়? এক্ষেত্রে দুজনের কাজের আলাদা সময় হওয়ার প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেন বিচারপতি। এরপরই দম্পতিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিচ্ছেদের জন্য তাঁরা একটুও অনুতপ্ত নন। অথচ বিয়ের জন্য তাঁদের অনুশোচনা হচ্ছে। যা খুবই অবাক করার মতো ঘটনা বলে মনে করেছেন বিচারপতি। এখানেই শেষ নয়। বিচারপতির দাবি, বেঙ্গুলুরু এমন জায়গা নয়, যেখানে আকছার ডিভোর্স হয়। তাই ওই দম্পতিকে আরও এক বার ভেবে দেখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: শাহরুখ থেকে সলমন… তাঁর ইফতার পার্টিতে ডাক পেতে মুখিয়ে থাকেন তারকারা, কে এই বাবা সিদ্দিকি?
যদিও বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁদের মধ্যে কোনও মতবিরোধ ছিল না বলেই দাবি ওই দম্পতির। দুজনে সম্মিলিত ভাবেই ‘মিউচুয়্যাল ডিভোর্সের’ আবেদন জানিয়েছিলেন। আদালতের তরফে সব কিছু খতিয়ে দেখার পর, ১২ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ব্যক্তিকে। এই শর্তে দু’পক্ষই রাজি হয়। একইসঙ্গে শীর্ষ আদালতও জানায়, ওই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে কোনও আইনি বাধা নেই। পারস্পরিক সম্মতিতে তাঁরা বিচ্ছিন্ন হতেই পারেন। কিন্তু তারপরেও ওই দম্পতিকে একবার ভেবে দেখার আর্জি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি।