খারকিভ মেট্রো স্টেশনে হঠাৎ উদয় সুপারহিরোর। ম্লান মুখে বসে থাকা ইউক্রেনের খুদেরা তাকিয়ে দেখল, হাতের নাগালেই স্বপ্নের স্পাইডারম্যান, ব্যাটমান। মুহূর্তেই যেন শুরু হল হাসিখুশির উৎসব। আর আনন্দে উৎফুল্ল সেই কচিকাঁচাদের দেখে আপ্লুত বিশ্ববাসীও। যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের ভিতর এমন দৃশ্যের জন্ম হওয়া তো সহজ নয়। সেই কঠিন কাজটিই সহজ করলেন তিনজন ব্যক্তি। আসুন শুনে নিই সে কথা।
যুদ্ধের আঁচে উত্তপ্ত দেশ। শিশুরা জানে না, কেন যুদ্ধ বাধে! যুদ্ধ করে কার কী লাভ! শুধু জানে, তাদের মুখের হাসি মুছে দিয়েছে এই যুদ্ধ। সেই ফ্যাকাশে মুখেই একদিন একটু হাসিয়ে ফুটিয়ে তুলল সুপারহিরোরা।
খারকিভ মেট্রো স্টেশনে তখন ইউক্রেনের খুদেদের ভিড়। তাদের ম্লান মুখ চকিতে হয়ে উঠল উজ্জ্বল। যুদ্ধের বিভীষিকায় যাদের সঙ্গে দেখা হয়নি, হাতের নাগালেই যে রয়েছে তারা। একদিকে দাঁড়িয়ে স্পাইডারম্যান, অন্যদিকে ব্যাটমান। আর তার থেকে একটু দূরেই অপেক্ষায় পিঙ্ক র্যাবিট। পছন্দের চরিত্রদের দেখতে পেয়ে তখন আনন্দে আত্মহারা খুদেরা। এক নিমেষে মুছে গেল যুদ্ধের ছায়া। সুপারহিরোরা এগিয়ে এসে শুরু করল নানারকম অঙ্গভঙ্গি। আর তাদের সঙ্গে খেলায় মেতে গেল কচিকাঁচারা। কেউ খলখল হেসে হাততালি দিচ্ছে, তো কেউ আনন্দে চিৎকার করছে। অনাবিল আনন্দের কয়েকটা মুহূর্ত। সকলেই যেন ভুলে গিয়েছে, বাইরের বিশ্বে তাদের জন্যে কী অপেক্ষা করছে। ধ্বংস আর মৃত্যুর উপত্যকা তাদের দেশ। তবু তার ভিতরেই খুদেদের এই হাসিখুশি মুহূর্তগুলো যেন মাথা নেড়ে উঠল নাম না-জানা ফুলের মতোই।
আরও শুনুন: ‘ভোপালি মানেই সমকামী’! বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর
তা কেই সুপারহিরোরা? সত্যিই কি খুদেদের মুখে হাসি ফোটাতে উদয় হয়েছিল স্পাইডারম্যান, ব্যাটমানের! না, তা নয়। আসলে সুপারহিরো তো হয়ে ওঠেন কোনও কোনও মানুষ-ই। যাঁরা রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে দেশকে বাঁচাচ্ছেন, তাঁরাও যেমন সুপারহিরো, এঁরাও তেমনই। খুদেদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলাও তো চাট্টিখানি কথা নয়, তা-ও আবার এই যুদ্ধবিধস্ত সময়ে। তিন ব্যক্তি এই পরিকল্পনা করেছিলেন। যুদ্ধের সময়ে বাচ্চাদের খুশি করতে কী করা যায়, তা নিয়েই ভাবছিলেন তাঁরা। শেষমেশ ধরা দেন এই সুপারহিরো রূপে। ইতিমধ্যেই ঘর ছাড়তে হয়েছে বহু খুদেকে। ইউনিসেফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ বর্তমানে উদাস্তু। সংখ্যাটা সরকারি হিসেবে প্রায় এক কোটি। তার মধ্যে অন্তত ৪৩ লক্ষ শিশু রয়েছে বলেই জানিয়েছে ইউনিসেফ।
বাকি অংশ শুনে নিন।