আর এক পায়ে নয়, এবার দুপায়ে লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে চলার পালা। দুর্ঘটনায় এক পা হারানো কিশোরীর লড়াইয়ে শামিল হলেন খোদ বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ। এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে দূরের স্কুলে যাওয়া মেয়েটির অদম্য মানসিকতা দেখে মুগ্ধ অভিনেতা। কী বললেন তিনি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
এক পা হারিয়েছে দুর্ঘটনায়। কিন্তু তার জন্য থেমে যায়নি ছুটে চলার স্বপ্ন। এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়েই রোজ স্কুলে যাতায়াত করে বিহারের মেয়ে সীমা। কিশোরী মেয়েটির এভাবে স্কুলে যাওয়ার ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তারপরেই মেয়েটির পাশে এসে দাঁড়ালেন খোদ সোনু সুদ। নিজের স্বভাবমতোই এই কিশোরীর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেতা।
আরও শুনুন: ২০২২-এও বদলায়নি অবস্থা, প্রায় সব ক্ষেত্রেই হাত বাঁধা মেয়েদের, বলছে মানবাধিকার কমিশন
কোভিডের সময় থেকেই দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে বারবার এসে দাঁড়িয়েছেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ। গরিবের মসিহা বলেই পরিচিত হয়ে উঠেছেন তিনি। তার ব্যতিক্রম হল না এবারেও। ভিডিয়োটি দেখার পরই তিনি টুইট করেন, ‘এবার এক নয়, দুপায়ে লাফিয়ে ঝাঁপিয়েই স্কুলে যাবে মেয়েটি। টিকিট পাঠাচ্ছি। দু’পায়ে হাঁটার সময় এসে গিয়েছে।’
আরও শুনুন: একজন করেছেন তুলো বিক্রি, অন্যজন আচমকাই অভিনয়ে… এই দুজনের জাদুতে এখন বুঁদ দর্শক
বিহারের জামুই এলাকার ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা সীমা। দরিদ্র পরিবারের মেয়েটির স্বপ্ন ছিল, পড়াশোনা শিখে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। ভবিষ্যতে শিক্ষিকা হতে চেয়েছিল সীমা। কিন্তু বছর দু’য়েক আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় একটি পা হারায় সে। ভিনরাজ্যে গিয়ে দিনমজুরের কাজ করা বাবা-মা আর পাঁচ ভাইবোনের সংসার এমনিই টেনেটুনে চলে। তার মধ্যে সীমার জন্য বিকল্প পা কিংবা অন্য কোনও যান্ত্রিক সাহায্যের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি তার পরিবারের পক্ষে। এদিকে বাড়ি থেকে মেয়েটির স্কুলের দূরত্ব অন্তত এক কিলোমিটার। এই অবস্থায় স্কুলের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়াই ছিল সীমার ভবিতব্য। কিন্তু পরিস্থিতির কাছে হার মানতে নারাজ এই ছোট মেয়েটি। তাই এক পায়েই লাফিয়ে লাফিয়ে রোজ স্কুলে যেতে শুরু করে সে। এই ঘটনা চমকে দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট সকলকেই। আর সেইভাবে তার স্কুলে যাওয়ার একটি ভিডিও-ই সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্রে ভাইরাল হয়ে যায়। এমনকি তা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় ভাগ করে নেন খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের তরফে তার বাড়িতে গিয়ে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন জেলাশাসক। আর এবার সীমার লড়াইয়ের পাশে এসে দাঁড়ালেন সোনু সুদ-ও।