যোগীশ্রেষ্ঠ বলা হয় যে দেবতাকে, সেই শিবের উপরেই এবার আঘাতের অভিযোগ। তাও খোদ যোগীরাজ্যে। উত্তরপ্রদেশের মুজফরনগরে হাতুড়ি দিয়ে শিবলিঙ্গ ভাঙার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। এই ইস্যুতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এক ব্যক্তি। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
হিন্দু ধর্মের পরম আরাধ্য দেবতা শিব। শিবলিঙ্গের উপাসনা করেন নারী পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেই। আর সেই শিবলিঙ্গের উপরেই এবার আঘাত হানার অভিযোগ উঠল খোদ যোগীরাজ্যে। অভিযোগ, হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা হয়েছে শিবলিঙ্গ। আর সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও শুনুন: প্রেমিক-প্রেমিকা ভিন্নধর্মের হলেই লাভ জিহাদ নয়, সাফ কথা আদালতের
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মুজফরনগরের। মূলত মুসলিম প্রধান এই জেলায় হিন্দু মন্দিরের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। যে কয়েকটি মন্দির আছে, তা বেশ পুরনো এবং জনপ্রিয়। তেমনই একটি প্রসিদ্ধ মন্দির রয়েছে এখানকার জনসথ শহর এলাকায়। মন্দিরের প্রধান আরাধ্য মহাদেব। গর্ভগৃহে রয়েছে প্রাচীন এক শিবলিঙ্গ। প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। ঘটনার দিন সকালেও মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন কয়েকজন। তাঁরাই আবিষ্কার করেন মন্দিরের ভিতরে থাকা শিবলিঙ্গটি ভাঙা। সঙ্গে সঙ্গে খবর পাঠানো হয় মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মন্দিরের সামনে হাজির হন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। শিবলিঙ্গের এমন অবস্থা থেকে সকলেই বুঝতে পারেন কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবেই এমন কাজ করেছে। অবস্থা খতিয়ে দেখে স্থানীয় থানায় ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ দায়ের করে মন্দির কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় হাজির হয় পুলিশবাহিনী। মন্দিরের ভিতর তেমন কোনও প্রমাণ ছিল না। তবে মন্দিরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো ছিল। আর সেখান থেকেই আগের রাতের সম্পূর্ণ ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। রাতের অন্ধকারে মন্দিরে এক ব্যক্তিকে ঢুকতে দেখা যায়। ভিডিওতে স্পষ্ট বোঝা যায়, মন্দিরের গর্ভগৃহে থাকা শিবলিঙ্গটিকে হাতুড়ি দিয়ে বারবার আঘাত করছে ওই ব্যক্তি। এর ফলেই শিবলিঙ্গটি ভেঙে যায়।
আরও শুনুন: ১১ বছর ধরে পা পড়েনি বাইরে, তরুণীকে ঘরবন্দি করে নির্যাতন আইনজীবী স্বামীর
তবে অন্ধকার থাকলেও, ভিডিওতে দেখতে পাওয়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, তার নাম রাহুল। ঠিক কেন এমন কাজ করেছে ওই ব্যক্তি, তা এখনও জানা যায়নি বলেই খবর পুলিশ সূত্রে। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের কড়া শাস্তি চেয়ে সরব হয়েছেন এলাকার হিন্দু বাসিন্দারা।