বাড়ির লোক তাঁকে ভোট না দিলে, দুদিন খাবার খাবে না কেউ। স্কুল পড়ুয়াদের এমনই পাঠ শেখালেন মহারাষ্ট্রের বিধায়ক। সম্প্রতি তাঁর এই মন্তব্যের ভিডিও ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়। কোন বিধায়ক করলেন এমন কাণ্ড? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ভোট দিতে হবে তাঁকেই। নাহলে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে পড়ুয়াদের এমনটাই শেখালেন শিব সেনা বিধায়ক সন্তোষ বাঙ্গার। বিশেষ ছড়া কেটে পড়ুয়াদের শিখিয়ে দিলেন তাঁকে ভোট দেওয়ার মন্ত্র। আর সেই ঘটনার ভিডিও ঘিরে উত্তাল নেটদুনিয়া।
১৮ বছর বয়স না হওয়া অবধি ভোট দেওয়ার অধিকার মেলে না। স্বাভাবিক ভাবেই বেশিরভাগ স্কুল পড়ুয়ারই নির্বাচন সম্পর্কে কোনও বাস্তব ধারণা নেই। নির্বাচন কমিশনের তরফেও নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও নাবালককে না জড়ানোর কথা। কিন্তু সবক্ষেত্রে যে সেই নিয়ম মানা হবে তার কোনও মানে নেই। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রেই ধরা পড়ল সেই নির্বাচনী নিয়ম ভাঙার ছবি। এমনিতে কেউকে ভোট দেওয়ার জন্য প্ররোচিত করাও নিয়ম বিরুদ্ধ। প্রার্থী বড়জোড় অনুরোধ করতে পারেন। কিন্তু জোর করে কারও ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়া যায় না। এমনকি কাউকে ভোট দিতে বাধ্য করাও একেবারেই অনুচিত। অথচ শিব সেনা বিধায়ক সন্তোষ বাঙ্গার ঠিক তেমনটাই করেছেন। তাও আবার স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে। সম্প্রতি নিজের বিধানসভা এলাকার এক স্কুলে পরিদর্শনে গিয়ে পুরোদস্তুর ভোটের প্রচার চালিয়েছে সন্তোষ। বলা ভালো, সেখনকার পড়ুয়াদের তাঁকে ভোট দেওয়ার জন্য প্ররোচিতও করেছেন।
এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই সরব হয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। একযোগে প্রতিবাদ জানিয়েছে এনসিপি ও কংগ্রেস। বিধায়কের এই কাজ নির্বাচন কমিশনের নিয়ম বিরুদ্ধ। সেই দাবিতেই প্রতিবাদ জানিয়েছে শরদ পাওয়ারের দল। তাঁদের দাবি, এইভাবে পড়ুয়াদের প্ররোচিত করা কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না। তাই বিধায়ক বাঙ্গারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবিও উঠেছে। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন কারণে বিতর্কে জড়িয়েছেন বাঙ্গার। কখনও প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রসঙ্গ টেনে বলতে গিয়ে আবার কখনও অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে এসে বিতর্কের আবহ তৈরি করেছেন। এবার সেই বিতর্কের তালিকায় যোগ হল স্কুল পড়ুয়াদের ভোট নিয়ে প্ররোচনা।