দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সিলেবাস থেকে বাদ পড়েছে মহাশ্বেতা দেবীর ‘দলিত সাহিত্য’। এবং আরও দুই দলিত লেখকের রচনাও। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছেও পিটিশন জমা পড়ল। পিটিশন জমা দিলেন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, লেখক, অভিনেতারা এবং একাধিক দলিত সংগঠন। উত্তেজনা রাজধানীর সারস্বত মহলে।
সম্প্রতি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির সিলেবাস থেকে বাদ পড়েছেন তিন লেখিকা। এবার তার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছেও পিটিশন জমা দিলেন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, লেখক, অভিনেতা ও একাধিক দলিত সংগঠন। পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন সিনে দুনিয়ার শর্মিলা ঠাকুর, শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস প্রমুখ। রোমিলা থাপার, রামচন্দ্র গুহ, জয়তী ঘোষের মতো বরেণ্য ইতিহাসবিদের পাশাপাশি অরুন্ধতী রায়, পেরুমল মুরুগান, বিক্রম চন্দ্ররাও সামিল হয়েছেন প্রতিবাদে। সব মিলিয়ে পিটিশনে স্বাক্ষরকারীর সংখ্যা ১ হাজার ১৫০ জন।
আরও শুনুন: রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, মঞ্চে নগ্ন হওয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন সাবিত্রী
এতদিন দিল্লি ইউনিভার্সিটির ইংরেজির পাঠক্রমে পড়ানো হত মহাশ্বেতা দেবীর ছোটগল্প ‘দ্রৌপদী’। যেখানে উঠে এসেছিল এক দলিত তথা প্রান্তিক মহিলার জীবন। রাতারাতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কমিটির সুপারিশে গল্পটিকে বাদ দেওয়া হয়। বাদ পড়ে আরও দুই দলিত লেখক বামা এবং সুকীর্থারানির রচনাও। এরই প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতির কাছে পিটিশন জমা পড়েছে সম্প্রতি। শুধু প্রখ্যাত ব্যক্তিরাই নয়, তিন লেখিকার লেখা বাদ পড়ায় বিরক্ত একাধিক দলিত সংগঠন। তারা কারা ?
তাদের মধ্যে রয়েছে অল ইন্ডিয়া দলিত মহিলা অধিকার মঞ্চ, এশিয়া দলিত রাইটস ফোরাম, বাংলা দলিত সাহিত্য সংস্থা ও ন্যাশানাল ক্যাম্পেইন ফর দলিত হিউম্যান রাইটস। এই সংগঠনগুলির প্রধানেরাও প্রতিবাদী পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় পিটিশন দাখিলকারীদের তরফে কড়া বিবৃতি জারি করা হয়েছে। কী বলা হয়েছে সেখানে?
আরও শুনুন: গান্ধারীর অভিশাপেই অশান্ত আফগানিস্তান! মহাভারত কিন্তু বলছে অন্য কথা…
বলা হয়েছে, দলিতদের ওপর কতখানি অত্যাচার হয়, কীভাবে তাদের দাবিয়ে রাখা হয়, তা জানা ও বোঝার জন্য মহাশ্বেতা দেবী ও অন্য দুই লেখিকার রচনা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীন ভারতের নবীন প্রজন্ম কেন জানবেন না এই বাস্তবতাকে? পিটিশনে স্বক্ষারকারীদের আরও প্রশ্ন, তা হলে কীভাবে সমতার পৃথিবীর স্বপ্ন দেখব আমরা? দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের 2021 সালের সিলেবাস কি আসলে আদিবাসী, দলিতদের প্রতিবাদের ভাষাকে অস্বীকার করতে চায়? কীসের এত ভয়?
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।