কলেজ চত্বরে মসজিদ। তাতেই বেজায় আপত্তি পড়ুয়াদের। প্রতিবাদে মসজিদের সামনে হনুমান চল্লিশা পাঠ করলেন পড়ুয়ারা। স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। কোথায় ঘটেছে এমন কাণ্ড? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়েছে, এই অভিযোগে হামেশাই সরব হন হিন্দুত্ববাদিরা! কিছুক্ষেত্রে ঘটনার জল অনেকদূর গড়ায়। গোটা দেশে তার আঁচ পড়ে। সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরিতে এমন ঘটনার জুড়ি মেলা ভার। সম্প্রতি বেনারসের এক কলেজেও এমনই এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি দেখা দিয়েছে। তবে সেখানে কোনও মন্দির ভাঙার তত্ত্ব খাড়া হয়নি, বরং মসজিদ কেন রয়েছে তা নিয়েই উঠেছে আপত্তি।
কথা বলছি বেনারসের উদয় প্রতাপ কলেজ সম্পর্কে। কলেজ চত্বরে ওই মসজিদ বহুদিনের, এতদিন কোনও সমস্যা হয়নি। আলাদা করে পড়ুয়ারাও প্রতিবাদ জানায়নি। তবে যে অংশে ওই মসজিদ রয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ২০১৮ সালে এই জমির মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাতে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, ওই অংশের মালিকানা তাঁদেরই। তবে বিতর্ক থামেনি। একইসঙ্গে হঠাৎ করে মাথা চাড়া দেয় অন্য একটি প্রসঙ্গ। পড়ুয়াদের তরফেই দাবি ওঠে, কেন কলেন চত্বরে মসজিদ থাকবে? তবে এই পড়ুয়ারা যে ওই কলেজের, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। অভিযোগ, বাইরের থেকে পড়ুয়া পরিচয়ে কলেজে ঢুকে এমন দাবি তুলছেন অনেকে। তাতে মিশে যাচ্ছেন কলেজ বহু পড়ুয়া। সম্প্রতি মসজিদের সামনে বসেই হনুমান চল্লিশা পাঠ করেন একদল পড়ুয়া। তাতেই অস্বস্তিতে পড়েন মসজিদের সদস্যরা। সামগ্রিকভাবে বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এখান থেকেই অশান্তির শুরু। প্রায় ৩০০ পড়ুয়া জোর করে কলেজে ঢোকার চেষ্টা করে, অভিযোগ তাদের কাছে গেরুয়া পতাকা ছিল। এবং তা বিশেষ ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন সকলে।
পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সম্পূর্ণভাবে কলেজে ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। বহিরাগত তো বটেই, কলেজের অধ্যাপক এবং অন্যান্য কর্মীদেরও কলেজে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। বাড়ানো হয়েছে কলেজের নিরাপত্তাও। এমনিতেই মন্দির মসজিদ বিতর্কে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি হয়ে থাকে। যোগীরাজ্যে এমন ঘটনার সংখ্যা নেহাতই কম নয়। তাই নতুন করে আরও একটা ঘটনা মারাত্মক অশান্তির আকার নিক তা চাইছেন না প্রশাসন।