দীপাবলিতে বাজি পোড়ানো নিয়ে আপত্তি তুলতেই জুটল ‘হিন্দুবিরোধী’ তকমা। নেটদুনিয়ায় রীতিমতো ক্ষোভের মুখে পড়তে হল এই অভিনেত্রীকে। ঠিক কী বলেছেন তিনি? শুনে নেওয়া যাক।
দীপাবলি শেষ হয়েছে। কিন্তু বাজি পোড়ানোর শেষ নেই। উৎসবের লগ্ন পেরিয়ে গেলেও সেই উৎসাহে ভাটা পড়ছে না অনেকেরই। এই লাগাতার বাজি পোড়ানো নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়াতে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী রুবিনা দিলাইক। কিন্তু তার ফল হল বিপরীত। বাজি পোড়াতে বারণ করেছেন মানেই হিন্দুবিরোধী ওই অভিনেত্রী, এই মর্মে আক্রমণ শানালেন নেটিজেনদের একাংশ। এমন একটি সাধারণ বক্তব্য নিয়েও যে মন্তব্যের মোড় ঘুরে যেতে পারে ধর্মের দিকে, তা দেখে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন রুবিনা।
আরও শুনুন: ছোট চুল রেখেছে মানেই নারীবাদী! বেজায় খেপে মহিলাকে আক্রমণ যুবকের
দীপাবলি মানেই বাজির ফোয়ারা। বাজি ফাটাতে ভালোবাসেন অনেকেই। কিন্তু এই জিনিসটির দৌলতে একদিকে যেমন পশুপাখিরা ভয় পায়, অসুস্থ মানুষদেরও যন্ত্রণা বাড়ে, তেমনই পরিবেশের দূষণও বাড়ে রীতিমতো। বহুদিন ধরেই তাই দীপাবলির আগে এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেন পরিবেশবিদেরা। এমনকি একাধিকবার বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। চলতি বছরেও যেমন, দিল্লিতে দূষণ যেভাবে মাত্রা ছাড়িয়েছিল, সেই পরিস্থিতিতে বাজি পোড়ানোয় আগেভাগেই হুঁশিয়ারি জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু রাজধানী শহরেই নয়, গোটা দেশের সব রাজ্যকেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও ফল হয়নি তাতেও। এরপরেও লাগাতার বাজি পোড়ানো হয়েছে, ফাটানো হয়েছে শব্দবাজিও। দীপাবলি পেরিয়ে গেলেও তাতে বিরাম ছিল না। আর এর ফলে বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ কীভাবে বাড়ছে, তা নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রুবিনা। এর উত্তরে এক ব্যক্তি মন্তব্য করে বসেন, দীপাবলির বিরুদ্ধে হিন্দুবিরোধী প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন অভিনেত্রী। ওই টুইটটি মুছে না দিলে তাঁকে বয়কট করা হবে বলেও হুমকি দেন সেই ব্যক্তি।
আরও শুনুন: স্ত্রী থাকতেও অন্য নারীর সঙ্গে বাস! লিভ-ইন কি বলা যায়? জানাল হাই কোর্ট
এই মন্তব্যের পালটা দিতে অবশ্য ছাড়েননি অভিনেত্রী। একটি নতুন পোস্টে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, দীপাবলি ঘিরে রামের অযোধ্যায় ফেরার যে কাহিনিটি প্রচলিত, তা তিনি ভালো করেই জানেন। তবে সেখানে কোথাও দশদিন ধরে বাজি পোড়ানোর কথা বলা হয়নি, এই বলেই পালটা তোপ দেগেছেন রুবিনা। নেটদুনিয়ার ওই ব্যক্তিদের ছদ্ম-হিন্দুত্ববাদী বলেও বিঁধেছেন তিনি। সব মিলিয়ে, বাজি ফাটানোর মতো একটি বিষয়েও উসকে উঠেছে ধর্মকেন্দ্রিক বিতর্ক।