সামবেদের উর্দু সংস্করণ প্রকাশ করতে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। সম্প্রতি এমনই ঘোষণা করা হয়েছে সংঘের তরফে। অনেকের মতে, মুসলিম সমাজের কাছে বেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই এই উদ্যোগ। সত্যিই কি তাই? নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? আসুন শুনে নিই।
মুসলিমদের কাছে বেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। প্রকাশিত হতে চলেছে সামবেদের উর্দু সংস্করণ। তবে ধর্মীয় গ্রন্থ হিসেবে নয়। সাংস্কৃতিক গ্রন্থ হিসেবেই এই অনুবাদ করা হচ্ছে, জানিয়েছে সংঘ।
আরও শুনুন: ‘শাস্ত্রে উঁচু নিচু জাত বলে কিছু নেই’, দাবি মোহন ভাগবতের
অনেকেই মনে করেন, হিন্দু ধর্মের প্রাচীনতম গ্রন্থ বেদ। এর মূলত চারটি ভাগ। প্রতিটি ভাগেই বর্ণনা করা হয়েছে জীবনধারণের বিভিন্ন নিয়ম নীতির কথা। কোথাও রয়েছে যাগযজ্ঞের কথা। কোথাও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়। আবার কোথাও রয়েছে ধর্মীয় ব্যাখ্যা। এর মধ্যে সামবেদে উল্লেখ রয়েছে বিভিন্ন ধর্ম সংগীতের কথা। বেদের এই বিশেষ ভাগটিরই উর্দু অনুবাদ প্রকাশ করতে চলেছে সংঘ। যদিও আরএসএস সূত্রে বলা হয়েছে, ধর্মগ্রন্থ হিসেবে নয়। সামবেদকে সাংস্কৃতিক গ্রন্থ হিসেবে সবার কাছে পৌঁছে দিতে চান তাঁরা। বিশেষত যারা উর্দুভাষী, তাঁরাও যেন বেদের জ্ঞান থেকে বঞ্চিত না হন, সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের হাতেই উদ্বোধন হবে এই অনুবাদ গ্রন্থটির। অনুবাদ করেছেন পরিচালক ও চিত্রনাট্য লেখক ইকবাল দুরানি। সংঘ প্রধানের মতে এই উর্দু অনুবাদের ফলে দেশের অনেক মুসলিম সামবেদ পড়ার সুযোগ পাবেন। বেদে বর্ণিত জীবনধারণের নিয়মনীতির কথা জানতে পারবেন তাঁরাও। আর এভাবেই নাকি দুই সম্প্রদায়ের দূরত্ব কমবে, এমনটাই মনে করেছেন তিনি।
আরও শুনুন: মদের দোকানে হাজির গরু! ‘গো-মাতা’কে সামনে রেখেই অভিনব প্রচার বিজেপি নেত্রীর
তবে এই প্রথম নয়। বছর দুয়েক আগেও মোহন ভাগবতের লেখা ‘ভবিষ্যতের ভারত’ বইয়ের উর্দু অনুবাদ হয়েছিল। সেই নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চাও হয়েছিল। সর্বদা ‘হিন্দুত্বে’র হয়ে সওয়াল করা ভাগবতের এহেন পদক্ষেপকে ব্যতিক্রমী বলেই মনে করছিলেন কেউ কেউ। এবার বেদের উর্দু সংস্করণ নিয়ে কী অভিমত সবার, সেটাই দেখার বিষয়।