নতুন বছরের শুরুতেই রাম মন্দিরের উদ্বোধন। এখন থেকেই সাজো সাজো রব গোটা অযোধ্যায়। দেশ বিদেশের হাজারও অতিথিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। তবে স্রেফ সনাতনি হিন্দু নয়, মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন মুসলিম দেশের প্রতিনিধিরাও। আসুন শুনে নিই।
২০২৪-র শুরু দিকেই লোকসভা ভোট। তার আগে অযোধ্যায় উদ্বোধন হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দির। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে দেশ সাক্ষী থাকবে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার। একইসঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা দেশ-বিদেশের একাধিক অভ্যাগতের। এমনকি তালিকায় রয়েছেন মুসলিমরাও।
আরও শুনুন: সারিয়ে তুলবেন আহত সৈনিকদের, সিয়াচেনের ঠান্ডায় অকুতোভয় ফতিমা ওয়াসিম
দীর্ঘ আন্দোলনের পর মিলেছিল বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরির অনুমতি। এই মন্দিরকে সামনে রেখেই একাধিক রাজনৈতিক প্রকল্পের পালে হাওয়া দিয়েছে দেশের গেরুয়া শিবির। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। তারপর থেকেই পুরোদমে শুরু হয়েছিল মন্দির নির্মাণের কাজ। বর্তমানে তা প্রায় শেষের মুখে। একইসঙ্গে তৈরি হচ্ছেন রাম লালাও। নেপাল থেকে আনা বিশেষ পাথ্র খোদাই করে নিখুঁত ভাবে তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ মূর্তি। উদ্বোধনের অনুষ্ঠান তো তাঁকেই কেন্দ্র করে। প্রথমবার রামলালার দর্শনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভক্তরা। তবে সকলের হয়তো এখনই সামনে থেকে সেই মূর্তি দেখার সৌভাগ্য হবে না। কারণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সুযোগ পাবেন ভাগ্যবান আমন্ত্রিতরাই। মন্দির সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, মোট ৭ হাজার নিমন্ত্রণপত্র পাঠানো হবে । যার মধ্যে ৩ হাজার ভিভিআইপি। অভিনেতা খেলোয়াড় থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী মহলের কর্তা ব্যক্তিরা রয়েছেন সেই তালিকায়। একইসঙ্গে রয়েছেন বিদেশি প্রতিনিধিও। জানা গিয়েছে, মোট ৫০ টি দেশে রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ পাঠানো হবে। যা ঠিক করবে আরএসএস। ইতিমধ্যেই সেই ঝাড়াই বাছাই-এর কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। মূলত বিভিন্ন দেশে স্বয়ংসেবক সংস্থার যে অফিস রয়েছে তার মাধ্যমেই পাঠানো হবে নিমন্ত্রণপত্র। এ প্রসঙ্গেই উঠে আসে মুসলিম প্রধান দেশের কথা। রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রধান সাফ জানিয়েছেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্রেফ হিন্দু নন, থাকতে পারেন মুসলিমরাও। অর্থাৎ কিছু মুসলিম প্রধান দেশেও পাঠানো হবে নিমন্ত্রণ পত্র। তালিকায়, দুবাই, সৌদি আরবের মতো বেশ কিছু দেশ রয়েছে। নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে সেখান থেকে প্রতিনিধি এলে তাঁরা মুসলিম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আগে ভাগেই মন্দির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই কথা।
আরও শুনুন: রাম মন্দিরের পাশেই চাই জমি! যোগী সরকারের কাছে আবদার দেশের অন্যান্য রাজ্যের
এদিকে রামমন্দিরের উদ্বোধনে পৌরহিত্য করবেন কোন পুরোহিত, মোট কতজন পণ্ডিত থাকবেন শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠানে সেই সবই জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। অনুষ্ঠান শুরু হবে জানুয়ারী ১৬ থেকেই। প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন হিসেবে ধার্য হয়েছে ২২ তারিখ। বিশেষ সূচি মেনে সেদিন গর্ভগৃহে স্থাপিত হবেন রামলালা। আর গোটা অনুষ্ঠান স্বচক্ষে দেখবেন দেশ বিদেশের আমন্ত্রিতরা। তবে সাধারণ দর্শকদের জন্য সম্পূর্ণ মন্দির খুলতে এখনও ঢের দেরি। তাই আপাতত মন্দির উদ্বোধনে ঠিক কেমন অনুষ্ঠান হতে চলেছে সেই ছবি দেখার জন্যই অপেক্ষায় দেশের অনেকেই।