তালিবান যোদ্ধাদের জন্য চাই যৌনদাসী। আর তাই মহিলাদের অপহরণ করে পাচার করা হচ্ছে কফিনবন্দি করে। মাত্র দিনকয় হল আফগানিস্তের দখল নিয়েছে তালিবানরা। আর তারপরই উঠে এল এই ভয়াবহ চিত্র।
আফগানভূম দখলের পর নিজেদের তথাকথিত ভাবে প্রগতিশীল হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে তালিবান নেতারা। জানিয়েছে, ইসলামিক আইন মোতাবেক মহিলাদের যা যা অধিকার তা এই নয়া জমানায় রক্ষিত হবে। যদিও তাঁদের মুখের কোথায় চিঁড়ে ভেজেনি। ফলে আতঙ্কিত ছিলেন আফগান মহিলারা। তাঁদের আশঙ্কা সত্যি করে খবর এল, ফের মেয়েদের যৌনদাসী বানাবার কাজ শুরু করেছে তালিবানরা। আর তারজন্য কফিনবন্দি করে মেয়েদের পাচার করছে বিভিন্ন দেশে।
আরও শুনুন: মোছা হচ্ছে বিজ্ঞাপনে মেয়েদের ছবি, তালিবানি ফতোয়ার রূপ দেখছে বিশ্ব
গতবারের তালিবানি শাসনের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছিল বিশ্বের সামনে। বামিয়ানে বুদ্ধমূর্তি ধ্বংসের মতো ঘটনা লজ্জিত করেছিল মানব সভ্যতাকে। এবার যখন আবার আফগানিস্তানের দখল নিল তালিবান, তখন কী ছবি উঠে আসে, সেই ভয়েই কাঁটা ছিল বিশ্ববাসী। তালিবানি শাসনে নির্মম আক্রমণ নেমে এসেছিল মেয়েদের উপর। জোর করে বিয়ে থেকে শুরু করে তালিবানি যোদ্ধাদের জন্যযৌনদাসী করে রাখা – হেন অত্যাচার নেই যা মহিলাদের উপর করা হয়নি। শিক্ষা তো দূরের কথা, ঘরের বাইরে বেরোনোর অধিকার পর্যন্ত গিয়েছিল মহিলাদের।
আরও শুনুন: প্রতিবাদীদের গুলি থেকে মহিলা অপহরণ – ক্ষমতা দখলের পরই তুমুল কুকীর্তি তালিবানের
সেই কথা ভেবেই এবারও গোড়া থেকে আতঙ্কে আছেন মহিলারা। তালিবানরা যতই নিজেদের মুখে প্রগতিশীল হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করুক না, অবস্থা যে বদলায়নি তার নমুনা মিলেছে। খবরে প্রকাশ, দখলীকৃত এলাকা থেকে মহিলাদের অপহরণ করা হচ্ছে যৌনদাসী করে রাখার জন্য। এবার সে বিষয়েই খোলাখুলি জানালেন আফগান আইনজীবী ও প্রাক্তন বিচারপতি নাজলা আইয়ুব। তাঁর দাবি, বহু আফগান মহিলাকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে তাঁদের কফিনবন্দি করে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে পড়শি দেশগুলিতে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি ঢুকে তালিবানি যোদ্ধারা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। যে বাড়িতেই নাবালিকা কন্য আছে, তাঁদের বিয়ে দিতে চাইছে তালিবানি যোদ্ধাদের সঙ্গে। তাঁর আশঙ্কা, মেয়েদের সম্পর্কে তালিবান মুখে যা বলছে, বাস্তবে তার কতটা কী রক্ষিত হবে, তা ভেবে তিনি উদ্বিগ্ন।
আরও শুনুন: তালিবান মেরে ফেললেও মন্দির ছেড়ে পালাতে নারাজ হিন্দু পুরোহিত
বিভিন্ন মহল থেকেই এই অভিযোগ ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। তালিবানিরা মহিলাদের অপহরণ করে তযোদ্ধাদের মনোরঞ্জন ও যৌনতৃপ্তির জন্যই কাজে লাগাচ্ছে। যদিও বাইরে তাঁরা বলছে, মেয়েদের উপর জুলুম থাকবে না। যা হবে, তা ইসলাম মোতাবেক হবে।
কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবে আদৌ রক্ষিত হবে কি না, সে আশঙ্কা নাজলা আইয়ুবের মতোই গোটা বিশ্বেরও।