এটিএমের লম্বা লাইন পেরিয়ে টাকা তুললেন বটে। কিন্তু সেখান থেকেও বেরিয়ে এল কিনা ছেঁড়া-ফাটা নোট। এখন, কী করবেন? কাকেই বা নালিশ জানাবেন! সে নোট বাজারে চালানো যে কতটা কঠিন তা তো ভুক্তভোগী মাত্রেই জানেন। কী ভাবছেন, গচ্চা গেল টাকাটা! একেবারেই না। ঠিক জায়গায় গেলে কোনও সমস্যা ছাড়াই বদলাতে পারবেন অচল টাকা। কোথায় যাবেন? সেই সুলুক সন্ধানই রইল আজ আপনার জন্য। শুনে নিন, কী করবেন?
ছেঁড়া টাকা নিয়ে বিপাকে পড়েননি এমন লোক বোধহয় বিশ্বসংসারে নেই। এদিকে, রাস্তাঘাটে বাসেট্রামে চারটে ভাল নোটের মধ্যে কখন যে একটা ছেঁড়া-ফাটা নোট ঢুকে পড়ে, তা বোধহয় কেউ জানতেও পারে না। কখনও কখনও তো এটিএম থেকেও বেরিয়ে আসে ছেঁড়া নোট। আর সেটাকে বাজারে চালাতে কালঘাম ছোটে। না এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বরং এই ধরনের নোট বদলানোর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার রয়েছে নির্দিষ্ট নিয়ম।
সাধারণ ভাবে এটিএমগুলিতে ব্যাঙ্ক যখন টাকা ভরে, তখন নোটগুলি মেশিনের মাধ্যমে চেক করে তবেই নেওয়া হয়। তার পরে এটিএমে ছেঁড়াফাটা নোট থাকা প্রায় অসম্ভব। তবু যে মাঝেসাঝে দু-একটা ছেঁড়া নোট উঁকি যে মারে না, এমনটা নয়। সে তো নাহয় দৈবাৎ ঘটে। এদিকে দোকানে বাজারে কেনাকাটা করার সময় ছেঁড়া নোটের আদানপ্রদান তো প্রায়শই চলতে থাকে চোখের আড়ালে। প্রত্যেকেই ভাবেন, কাউকে একটা গছিয়ে দিতে পারলেই নিষ্কৃতী। ফলে ছেঁড়া টাকা ঘুরতে থাকে এ-পকেট থেকে ও-পকেট। কিন্তু এটা সমাধান নয়। বরং ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হলেই মুশকিল আসান।
আরও শুনুন: ‘টোকেন’ ছাড়া করা যাবে না অনলাইনে কেনাকাটা, নয়া এই নিয়ম জানেন তো?
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নির্দেশ মোতাবেক, সমস্ত ব্যাঙ্ক পুরোনো নোট পালটে দিতে বাধ্য। ২০০৯ সালেই এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল আরবিআই। সেখানে জানানো হয়, ছেঁড়া-ফাটা নোটের বদলে প্রত্যেক গ্রাহককে পরিষ্কার, সঠিক নোট দেবে প্রত্যেকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক।
অনেক সময়ই এমন হয় যে, কোনও ব্যাঙ্কের ছোট শাখা সে সময় টাকাটা হয়তো বদলে দিতে পারছে না। সে ক্ষেত্রে ছেঁড়া টাকা জমা নিয়ে তারা গ্রাহককে একটি রিসিপ্ট দিয়ে দিতে পারে। তা দেখালে তিরিশ দিনের মধ্যে পরিবর্তিত নোট পেয়ে যাবেন গ্রাহক। তবে সেই ছেঁড়া ফাটা নোটের অঙ্কটা যদি পাঁচ হাজারের সীমা পেরিয়ে যায়, তবে আরও বেশ কিছু নিয়মকানুনের গেরোয় পড়তে হতে পারে গ্রাহককে।
আরও শুনুন: ভারতেই রয়েছে শূন্য টাকার নোট! কী কাজে লাগতে পারে জানেন?
অল্পস্বল্প টাকার ক্ষেত্রে ছেঁড়াফাটা নোট তাই আর কোনও সমস্যাই নয়। এটিএম থেকে পাওয়া ছেঁড়া নোটের ঝামেলা এড়াতেও তাই সোজা চলে যান ব্যাঙ্কে। ছেঁড়া টাকা এর ওর হাতে গুঁজে দেওয়ার আর কোনও প্রয়োজনই নেই। আপনার ব্যাঙ্কই দায়িত্ব নিয়ে আপনাকে সঠিক টাকা দিয়ে দেবে।