দীর্ঘ আন্দোলনের পর মিলেছিল বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরির অনুমতি। এই মন্দিরকে সামনে রেখেই একাধিক রাজনৈতিক প্রকল্পের পালে হাওয়া দিয়েছে দেশের গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে রাম মন্দির নির্মাণের কাজও। সে কাজ শেষ না হলেও ভক্তদের সামনে শীঘ্রই খুলে যাবে মন্দিরের দরজা, এদিন রাম মন্দিরের ভূমিপূজার দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে কার্যত এমনই অঙ্গীকার করল মন্দির ট্রাস্ট। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
২০২০ সালের ৫ অগস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পর থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়ে যায় মন্দির নির্মাণের কাজ। পাশাপাশি রাম মন্দির গড়ার লক্ষ্যে সারা দেশ থেকে অর্থসংগ্রহ করার উদ্যোগ নেয় গেরুয়া শিবিরের সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভক্তদের অনুদানের সুবাদে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনের চেয়েও বেশি অর্থ জমা পড়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টে। সব মিলিয়ে দুবছরে ব্যাপকভাবে এগিয়েছে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। মন্দির দর্শনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা চলছে রামভক্তদের। এবার তাঁদের জন্যই আশার বাণী শোনাল রাম মন্দির ট্রাস্ট। ভূমিপূজার দ্বিতীয় বার্ষিকীতে ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হল, শীঘ্রই খুলে যাবে মন্দিরের দরজা। যদিও সমগ্র নির্মাণকাজ শেষ হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলেই মনে করছে ট্রাস্ট। তবে তার আগেই, ২০২৩ সালের শেষের দিকেই ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলেই আশা করছেন তাঁরা।
আরও শুনুন: রাম সেতুর অস্তিত্ব কি সত্যি আছে? তথ্য আর যুক্তি কোন ইঙ্গিত দিচ্ছে?
রাম মন্দির আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের থেকেও বড়, কিছুদিন আগে এমনই মন্তব্য করেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন। এহেন মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলেও নিজেদের অবস্থা থেকে সরেননি তিনি। বস্তুত রাম মন্দিরকে নিজেদের সবচেয়ে বড় প্রকল্পগুলির অন্যতম বলেই চিহ্নিত করেছে বিজেপি। আর ভক্তদের মধ্যে এই মন্দির নিয়ে উন্মাদনা জিইয়ে রাখতেই যত দ্রুত সম্ভব মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে তাঁদের, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। চলতি বছরের জুন মাসের পয়লা তারিখেই রাম মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রাম জন্মভূমিতে ‘শিলা পূজন’ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে তিনিও বলেছিলেন, ‘‘৫০০ বছরের সংগ্রাম সফল হয়েছে। শীঘ্রই অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হবে।’’ এবার রাম মন্দির ট্রাস্টের তরফ থেকেও মিলল একই প্রতিশ্রুতি। ২০২৩-এর ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই কাঠামোর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ পুরোপুরি শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে রাম মন্দির ট্রাস্টের। তারপর মন্দিরের প্রথম তলে রামলালার মূর্তি স্থাপন করা হবে। তখন সেখানে প্রার্থনা করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।