জেল আসলে সংশোধনাগার। শাস্তি নয়, বরং আসলে তা অপরাধীর মন বদলের ঠিকানা। তবে, তা বদলাবে কী করে? অভিনব উপায় খুঁজে বের করলেন যোগীরাজ্যের মন্ত্রী। কী তাঁর ভাবনা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
অপরাধীর মন বদল তো সহজ কথা তো নয়! তা নিয়ে বিস্তর ভাবনাচিন্তা করেন বিশেষজ্ঞরা। সাংস্কৃতিক নানা কাজে তাঁদের যুক্ত করে রত্নাকর থেকে বাল্মীকি করে তোলার চেষ্টা করা হয়। তবে, এবার একটি অভিনব পদক্ষেপ করতে চলেছে যোগীরাজ্য। সে-রাজ্যের জেলবন্দিদের দেওয়া হবে হনুমান চালিশা। আর তা পাঠ করেই বন্দিদের মন বদল হওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে প্রশাসন।
আরও শুনুন: মহিলা পুলিশের স্তন্যদান ভাইরাল, আরও যে যে কাজে নজর টেনেছে ভারতীয় পুলিশ
এই ভাবনা সে-রাজ্যের কারামন্ত্রী ধরমবীর প্রজাপতির। তাঁর মতে, ব্যক্তিত্বে জোর আনার জন্য প্রভু হনুমানের থেকে আদর্শ আর কেউ হতে পারেন না। তাই তাঁর স্মরণে মন্ত্র বা শ্লোক পড়ার মাধ্যমে যে কেউ উদ্বুদ্ধ হতে পারেন। এর মধ্যে কোনও রকম ধর্মীয় ভাগাভাগি আছে বলেতিনি মনে করেন না। রামায়ণের ‘সুন্দরকাণ্ড’ পাঠেও এই মনবদল সম্ভব বলে তাঁর বিশ্বাস। আর তাই ধর্মীয় পাঠের বাইরে একে ব্যক্তিত্বে শান দেওয়ার পদ্ধতি হিসাবেই দেখতে চান তিনি।
সম্প্রতি আজমগড় জেলে বন্দিদের সঙ্গে কথা বলার সময়ই তিনি এই ভাবনা ভাগ করে নেন। তাঁর মতে, বন্দিদের সংশোধনের জন্যই এই আবাস। তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ এর আগে নেওয়া হয়েছে। এটিও সেরকমই একটি নয়া পদ্ধতি। তবে, সকলকেই কি তা পড়তে জোর করা হবে? প্রশাসন বলছে, ব্যাপারটা সেরকম নয়। তবে, মন্ত্রকের তরফ থেকে সে-রাজ্যের জেলগুলিতে হনুমান চালিশা এবং রামায়ণের নির্বাচিত অংশ বিলি করা হবে। যাঁরা তা পড়তে ইচ্ছুক হবেন, তাঁদেরই হাতে তা তুলে দেওয়া হবে।
আরও শুনুন: ভিনদেশের মাটিতে হিন্দু ধর্মের প্রচার, উপার্জনের কোটি কোটি টাকা দান চিকিৎসকের
এর আগে একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল মথুরা এবং আগ্রার জেলেও। সেখানেও বন্দিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল হনুমান চালিশা। সমবেত ভাবে তা পাঠ করার দরুন, তাঁদের মানসিকতায় বড় পরিবর্তন এসেছিল। সেই পদ্ধতিরই প্রয়োগ এবার রাজ্যের সব জেলে হোক, এমনটাই চাইছে যোগীরাজ্যের কারামন্ত্রক।