গুণধর বললেও কম বলা হয়! সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত। আছে ২ স্ত্রী, ৯ সন্তান, ৬ বান্ধবী। শুধু তাই নয় একাধিক ক্রিমিনাল কেসের অভিযোগও আছে যুবকের বিরুদ্ধে। বহু খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে তাঁকে পাকড়াও করল পুলিশ। কে সেই গুণধর? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
পুলিশ যখন দরজায় করা নাড়ল তখন খোশমেজাজে ছিলেন যুবক। বিলাসবহুল এক হোটেলে স্ত্রীকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করছিলেন। সেই সঙ্গে পরিকল্পনা চলছিল, নিউ ইয়ার সেল্ব্রেশনের। ভাবছিলেন, সমুদ্রের ধারে কোথাও গিয়ে আয়েশে কাটাবেন নতুন বছরের শুরুটা। হেনকালে পুলিশের হানা। এবং গ্রেপ্তার।
আরও শুনুন: ১৬ দিনের অপেক্ষাতেও হল না শেষ দেখা, উত্তরকাশীতে শ্রমিককে উদ্ধারের আগেই মৃত্যু বাবার
ছাপোশা গল্পে যে এমন ট্যুইস্ট আসবে কে জানত! কিন্তু যুবকের পরিচয় জানলে বোধহয় এই পরিণতি সহজেই অনুমান করা যায়। সবার আগে জেনে নেওয়া যাক তাঁর কীর্তির খতিয়ান। বিদ্যেবুদ্ধির দৌড় তেমন কিছু নয়। ক্লাস সিক্স আর পেরনো হয়নি। এমনিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল বানান, বেশ পরিচিতও। সে তো মোটে একটা দিক। পুলিশ জানে, খান নয়েক অভিযোগ আছে এই যুবকের বিরুদ্ধে। কী কী করেছেন তিনি? একটা সময় মুম্বইতে ফলস সিলিং তৈরি কাজ করতেন তিনি। সেই সময় বিয়েও করেন তিনি। দাম্পত্যে এসেছে সাত সন্তান। গোল বাধল ২০১০ সাল নাগাদ। চাকরি হারিয়ে গ্রামে ফেরেন যুবক। কিন্তু তারপর আর ঠিকঠাক কাজ খুঁজে পাননি। অতএব ধরলেন অপরাধের পথ। চুরি, পাচার দিয়েই হয় হাতেখড়ি। এরপর তিনি খুঁজে পান এক সঙ্গীনিকে। একসঙ্গে শুরু করেন ভুয়ো নোট পাচারের কারবার। এ ছাড়া পঞ্জি স্ক্যাম খুলে লোক ঠকানোর কাজও চলছিল দিব্যি। আর এই করতে করতে দ্বিতীয়বার বিয়েও করে ফেলেন গুণধর যুবক। দ্বিতীয় দাম্পত্যেও আসে সন্তান। হাতে টাকাকড়িও আছে ভালো। অতএব শুরু হয় রাজকীয় জীবনযাপন।
আরও শুনুন: বোরখা পরেই র্যাম্পে হাঁটলেন তরুণীরা, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে সরব মুসলিম সংগঠন
এদিকে পুলিশ তাঁকে খুঁজছিল হন্যে হয়ে। একাধিক অভিযোগ তো জমা হয়েইছিল। সম্প্রতি ধর্মেন্দ্র কুমার নামে এক ব্যক্তি এফআইআর করেছিলেন এই যুবকের বিরুদ্ধে। ৩ লাখ টাকা নিয়ে তা দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন যুবক। শেষমেশ অবশ্য পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে পারেননি। অজিত মৌর্য নামে এই যুবকের হাতে হাতকড়া পরায় পুলিশ। গ্রেপ্তাররির পর অবশ্য আশ্চর্য হতে হয় তাঁদের। জানা যায়, অজিতের আরও জনা ছয় বান্ধবী আছে। দুই স্ত্রী, নয় সন্তান আর ছয় জন বান্ধবীর খরচ জোগাতেই নাকি এত অপরাধ করতে হত তাঁকে। পুলিশের কাছে এমনটাই কবুল করেছেন যুবক। সোশ্যাল মিডিয়ার পরিচিতি দিয়েই মহিলাদের কাছে তানতেন অজিত। আর তারপরই শুরু হত তাঁর নানা কীর্তিকলাপ। পুলিশের খাতায় সবই জমা হচ্ছিল, এবার খোদ গুণধরই গেলেন পুলিশের জিম্মায়।