দেশ বদলাচ্ছে। আর সেই বদলের কেন্দ্রবিন্দু যিনি, তিনি আর কেউ নন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকী তাঁর অতিবড় বিরোধীও স্বীকার করে নেন যে, তাঁর কাজের ধরন, দেশ চালনার মধ্যে এমন অনেক বৈশিষ্ট্যই আছে, যা খুঁটিয়ে এবং খতিয়ে দেখা জরুরি। আর তাই মোদি আর মোদি-জমানা নিয়েই লেখা হচ্ছে নতুন নতুন বই। জন্ম হচ্ছে নতুন লেখকদেরও। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
দেশের মানুষ যখন পড়াশনা করেন, তখনই দেশ নেতৃত্ব দেওয়ার পথে এগিয়ে যায়। এ-কথা খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। অনেকটা যেন সেই কথার অনুসরণেই শুরু হয়েছে মোদি-জমানাকে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা। কীভাবে তা সম্ভব? শুধু প্রত্যেক দিনের সংবাদের নিরিখে হয়তো সবটা বোঝা যায় না। আর তাই প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর জমানার গভীরতা মাপতে শুরু হয়েছে নতুন নতুন বই লেখা।
-: আরও শুনুন :-
‘অনুদান হারানোর ভয়েই কেউ কেউ নীরবতা শ্রেয় মনে করছেন’
ভারতবর্ষ যে নতুন দিকে এগোচ্ছে, তা নিয়ে প্রায় কোনও সন্দেহের অবকাশই নেই। তা কতটা সদর্থক বা নয়, সে অবশ্য তর্কযোগ্য বিষয়। তবে, এই ধারনার মূল ভিত্তি হল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজস্ব দেশচালনার পদ্ধতি। যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের দৃঢ়তা তিনি দেখিয়েছেন। তার ফলে বদল এসেছে দেশেরভিতরে এবং জনমানসে। গণতন্ত্র এবং ধর্মের সম্পর্কের নিরিখেও যে একটা বড় পরিবর্তনের সাক্ষী হয়ে থাকছে এই সময়টা, তাও অনস্বীকার্য। সুতরাং যে সময়কালকে সংবাদের ভাষায় সচরাচর মোদি-জমানা বলা হয়, তা গভীর অভিনিবেশরই দাবি রাখে। সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। সমাজবদলের খুঁটিনাটি নিয়ে যেমন সমাজতাত্ত্বিকরা বিষয়টিকে পর্যালোচনা করছেন, অর্থনীতির বদল নিয়ে ভাবছেন এবং লিখছেন অর্থনীতিবিদরা, তেমনই আরও নানা দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই দেখা হচ্ছে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়কালকে। ফলত তাঁকে নিয়ে লেখালিখিতে জোয়ার এসেছে বলা যায়। শুধু তাত্ত্বিক লেখকরাই যে এই সময়কালকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন তা নয়। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ভাবিয়ে তুলেছে কর্পোরেট কর্তাব্যক্তিদেরও। সিইও, টেক গুরু হিসাবে যাঁরা খ্যাত, তাঁরাও তাই তাঁকে নিয়ে বই লিখছেন। পাশাপাশি সংঘ পরিবারের আদর্শ যাঁরা মেনে চলেন, তাঁরাও প্রধানমন্ত্রীর কাজকে বিশ্লেষণ করেছেন নতুন আলোয়। ফলত তাঁর সময় এবং তাঁকে নিয়ে বিস্তর বই লেখা হচ্ছে। বহু প্রকাশন থেকেই প্রকাশিত হচ্ছে নতুন নতুন বই। প্রকাশকদের কেউ কেউ বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাজ ও তাঁর সময়কাল নিয়ে জনমানসে দারুণ কৌতূহল আছে। সেই কারণেই পাঠক তাঁকে নিয়ে লেখা বইয়ের প্রতি আগ্রহী। পাঠকের সেই চাহিদা পূরণ করতেই আসছে একের পর এক বই। তা-ও শুধু রাজনৈতিক বিশ্লেষণ নয়। নানা দিক থেকে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে মোদি-জমানাকে।
সামগ্রিক ভাবেই এ-দেশের মানুষ রাজনৈতিক ভাবে সচেতন। আর দেশের রাজনীতিতে এই সময়পর্ব যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা সকলের কাছেই স্পষ্ট। ফলত সাংবাদিক, তাত্ত্বিকরাও যেমন কৌতূহলে তা নিয়ে কাজ করছেন, পাঠকরাও অর্থাৎ দেশবাসীও সেই সব লেখার ভিতর দিয়েই বোধহয় সময়কে বুঝে নিতে চাইছেন। এমনকী গুরুত্বপূর্ণ অনলাইন প্ল্যাটফর্মের বেস্টসেলার তালিকাও সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। সব মিলিয়ে বলা যায়, প্রধানমন্ত্রী মোদির জনপ্রিয়তা শুধু রাজনীতির আঙিনায় আটকে নেই। প্রকাশনের দুনিয়াতেও তা যথেষ্টই প্রভাব ফেলেছে।