ভোট দেওয়াই পবিত্র কর্তব্য। ভোটের দিনে তীর্থস্থানে যাওয়ার বদলে যথাযথভাবে সে কর্তব্য পালন করাই উচিত হবে। মানুষকে বার্তা দিলেন খোদ ধর্মগুরু। ঠিক কী বলেছেন তিনি? শুনে নেওয়া যাক।
ভোটের দিনে তীর্থস্থানে যাওয়া নয়, বরং ভোট দেওয়াই একরকমের তীর্থযাত্রা। আর সেই ভোট ধর্মনিরপেক্ষ প্রার্থীকে দেওয়াই উচিত কাজ। ভোটের দিনটিতে এ কাজ করলেই তা ধর্মপালনের শামিল হতে পারে, লোকসভা ভোটের আগে যেন তেমনই ইঙ্গিত রাখলেন খোদ ধর্মগুরু। স্পষ্ট করেই জানালেন, ভোট দেওয়া পবিত্র কর্তব্য। আর আমজনতাকে সেই কর্তব্য পালন করার কথাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
-: আরও শুনুন :-
রামলীলা বনাম রামলালা! উৎসব আর রাজনীতির দ্বন্দ্বে কাহিল রামনবমী
লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই দেশজুড়ে সাজো সাজো রব। চব্বিশের ভোটে দেশের ভাগ্য কোনদিকে যাবে, সেদিকে নজর থাকছে সকলেরই। আর রাজনীতির পরিবেশ যেমনই থাকুক না কেন, সেই ভাগ্যনির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ভূমিকা একটু হলেও থেকেই যায়। এই প্রেক্ষিতেই মানুষকে সে দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিলেন গোয়া এবং দমনের আর্চবিশপ ফিলিপ নেরি কার্ডিনাল ফেরাও। তিনি সাফ বললেন, ভেলাঙ্কান্নি যাওয়ার ট্রেন ধরার বদলে একদিন ভোটকেন্দ্রে যান এলাকার মানুষেরা।
-: আরও শুনুন :-
মন্দির নির্মাণে সম্প্রীতি বাড়বে না বিভেদ? ভোটের মুখে জবাব দেশের জনতার
আসলে তামিলনাড়ুর একটি পরিচিত তীর্থস্থান এই ভেলাঙ্কান্নি। সপ্তাহে একদিনই গোয়ার ভাস্কো দা গামা স্টেশন থেকে সেখানে যাওয়ার এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়ে। মে মাসের ৭ তারিখে গোয়ার নির্বাচন, আর ঠিক তার আগের দিন অর্থাৎ ৬ তারিখেই ওই ট্রেন ছাড়ার কথা। সেদিন ট্রেন ধরে যাঁরা ওই তীর্থে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন, তাঁদের পক্ষে ৭ তারিখে ভোটদান সম্ভব হবে না। সে কথা মনে রেখেই সকলকে আগেভাগে সতর্ক করলেন বিশপ। এমনকি ইতিমধ্যেই ট্রেনের টিকিট কাটা হয়ে গেলেও পরোয়া নেই, ভোটদানের জন্য সেই টাকা নষ্ট করা যেতে পারে বলেও সওয়াল তাঁর। একইসঙ্গে সমস্ত ক্যাথলিক ভোটারদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ নিয়ে চলেন এমন কোনও প্রার্থীকেই ভোট দেওয়া জরুরি। কারণ তেমন মানুষেরাই ধর্মের বেড়া না টেনে যে কোনও মানুষের জন্য কাজ করবেন। আর সেই বৃহত্তর স্বার্থের জন্যই গোয়া-দমনের মানুষকে যথাযথ ভাবে ভোট দেওয়ার কথা মনে করালেন এই ধর্মগুরু।