পাকিস্তান থেকে ভারতে আসার জন্য ভুয়ো নাম ও পরিচয় ব্যবহার করেছিলেন সীমা হায়দার। অনলাইন গেম থেকে প্রেমের টানে ভারতে আসা পাক বধূকে নিয়ে খোঁজ মিলল নয়া বিতর্কের। ঠিক কী জানিয়েছেন তদন্তকারীরা? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
প্রেমের টানে ভারতে আসা পাক বধূকে নিয়ে বিতর্ক ঘোরালো হল আরও। সীমা হায়দার কি আদতে প্রেমের টানেই পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন, নাকি তিনি আসলে পাকিস্তানের গুপ্তচর- এই প্রশ্নই আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। যার উত্তর খুঁজতে পুলিশের পাশাপাশি ময়দানে নেমেছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস অর্থাৎ সন্ত্রাস দমনকারী শাখাও। এই পরিস্থিতিতে এবার জানা গেল, আদৌ নিজের সত্য পরিচয়ে এ দেশে প্রবেশ করেননি সীমা। বরং ভুয়ো নাম ব্যবহার করেই পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে ভারতে ঢুকেছিলেন তিনি। একইসঙ্গে ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করার অভিযোগও উঠেছে এই পাক তরুণীর বিরুদ্ধে।
কী ঘটেছে ঠিক?
আরও শুনুন: বলতে হবে ‘জয় শ্রীরাম’, ইমামকে গেরুয়া চাদর পরিয়ে নির্দেশ, যোগীরাজ্যের ঘটনায় ফের বিতর্ক
নেপালের পোখরা থেকে যে বাসে চেপে সীমা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন, সেই বাস সংস্থার ম্যানেজার প্রসন্ন গৌতম সম্প্রতি ফাঁস করেছেন এই তথ্য। তাঁর কথায়, সীমা সাফ জানিয়েছিলেন যে তিনি ভারতের নাগরিক। নিজেকে সীমা নয়, প্রীতি বলে পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি পরিচয়পত্র হিসাবে একটি আধার কার্ডও নাকি তাঁর কাছে ছিল, এমনটাই দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি। প্রসন্ন জানিয়েছেন, পোখরা থেকে নয়ডা যাওয়ার জন্য সীমা বাসের চারটি টিকিট কেটেছিলেন, ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম প্রায় সাড়ে সাত হাজার টাকা। কিন্তু টিকিট কাটার পুরো টাকা সেসময়ে তাঁর কাছে ছিল না। প্রসন্নের দাবি, অনলাইনের মাধ্যমে সংস্থাকে সেই টাকা মিটিয়ে দিয়েছিলেন সীমারই এক ভারতীয় বন্ধু।
এদিকে শুধু ওই বাস সংস্থার মালিকই নন, কাঠমান্ডুর এক হোটেল মালিকও একই দাবি করেছেন সীমার বিরুদ্ধে। ওই হোটেল মালিক গণেশের দাবি, মার্চ মাসে তাঁর হোটেলে এসেছিলেন সীমা এবং শচীন। হোটেলে ঘর ভাড়া করার জন্য ভুয়ো পরিচয়পত্র দাখিল করেছিলেন তাঁরা। সেই সময়ে শচীন নিজেকে ‘শিবাংশ’ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। ভুয়ো নাম এবং পরিচয়ে প্রায় এক সপ্তাহ তাঁরা ওই হোটেলে ছিলেন বলে দাবি ওই হোটেল মালিকের।
আরও শুনুন: ‘৭২ ঘণ্টার মধ্যে ছাড়তে হবে ভারত’, গেম-প্রেমের পাক বধূকে হুমকি গো-রক্ষা হিন্দু দলের
অনলাইন গেম খেলার সূত্রে নয়ডার তরুণ শচীন মিনার সঙ্গে আলাপ, এবং প্রেমের টানে সংসার ছেড়ে শেষ পর্যন্ত প্রেমিকের কাছে চলে আসার ঝুঁকি নিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন সীমা হায়দার। যত বাধাই আসুক না কেন, এ দেশেই থেকে যেতে চান বলে জানিয়েছেন ওই পাক তরুণী। কিন্তু সীমার ভারতে অনুপ্রবেশ নিয়ে ক্রমশই বাড়ছে জট। সীমা আসলে পাকিস্তানের একজন সাধারণ গৃহবধূই, নাকি তিনি পাকিস্তানি গুপ্তচর, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তার মধ্যেই ভুয়ো নাম এবং পরিচয়পত্র দিয়ে সীমার ভারতে প্রবেশের তথ্য ফাঁস হওয়ায় আরও খানিক জটিল হল এই রহস্য।