হজরত মহম্মদের অসম্মান করলেই মাথা কেটে ফেলতে হবে। এই মর্মেই তরুণীদের জন্য গড়ে উঠেছে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির। পাকিস্তানের এই প্রশিক্ষণ শিবিরের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়েছে ক্ষোভ। কী ঘটেছে ঠিক? শুনে নেওয়া যাক।
কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না পয়গম্বর হজরত মহম্মদের অসম্মান। এমনকি কেউ এহেন কাজ করলেই তাঁর শিরশ্ছেদ করা হবে। এই উদ্দেশ্যেই বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছে পাকিস্তানের একটি মসজিদ। আর সেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কেবল তরুণীদেরই। বোরখা আর হিজাব পরা তরুণীদেরই শেখানো হচ্ছে তরোয়াল দিয়ে কীভাবে কারও মুণ্ডচ্ছেদ করা যায়। পাকিস্তানের লাল মসজিদের এই শিবিরের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে।
আরও শুনুন: মসজিদের সামনে দাঁড়াল গণপতি বিসর্জনের শোভাযাত্রা, ভজন থামিয়ে সম্মান জানালেন ভক্তরা
ওই ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, পাকিস্তানের লাল মসজিদের ভেতরে প্রশিক্ষণ চলছে তরুণীদের। প্রশিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা, সকলের পরনেই বোরখা। শিক্ষার্থীদের বোরখার রং গোলাপি। ওই শিক্ষার্থীদের সাফ জানানো হয়েছে, হজরত মহম্মদকে অসম্মান করা হলে তার শাস্তি একটাই, তা হল ওই ব্যক্তির মুণ্ডচ্ছেদ করা। প্রশিক্ষণ পর্বে তলোয়ার হাতে তরুণীদের স্লোগান দিতেও দেখা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, এ ধরনের প্রশিক্ষণ দেখে আতঙ্কে শিউরে উঠেছেন সকলেই। সাম্প্রতিক কালেই, পয়গম্বর হজরত মহম্মদকে নিয়ে করা এক মন্তব্যের জেরে প্রাণনাশের হুমকির মুখে পড়েছিলেন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা। যে ঘটনার পরে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়। কেবল দেশেই নয়, তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় হয় আন্তর্জাতিক মহলও। নূপুরের মন্তব্যের নিন্দায় সরব হয় ইরান, কাতার, ইরান-সহ একাধিক দেশ। এই প্রেক্ষিতে এমন ধরনের প্রশিক্ষণ শিবির দেখে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন অনেকে। এ সব দেখে কেউ কেউ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের অনেকে ভয়ংকর অপরাধ ঘটাতে পারে বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আর সেই কারণেই এ জাতীয় প্রশিক্ষণ শিবির বন্ধ করার পক্ষে জোর সওয়াল করছেন একাধিক মানুষ। এক সংবাদসংস্থায় অ্যানালিস্ট আমিনা বেগম আনসারি জানিয়েছেন, কেউ যদি ধর্ম প্রসঙ্গে সমালোচনা করে, তবে তা নিয়ে কোনও শারীরিক সংঘর্ষের পথে হাঁটার বদলে তর্কবিতর্ক এবং মতের আদানপ্রদান করা জরুরি। কট্টর ধর্মবিশ্বাসী মানুষের সেই ভাবনার শরিক হবেন কি না, সেটাই এখন দেখার।