নাইটি বা লুঙ্গি পরে থাকাই অভ্যাস? কিন্তু এমন পোশাক পরলে থাকতে হবে ঘরের ভিতরেই। এহেন পোশাকে সবার সামনে বেরনো যাবে না। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এহেন ফরমান জারি করেছে এক আবাসন। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কী ঘটেছে ঠিক? তাহলে শুনেই নেওয়া যাক।
কেউ কেউ যেমন ঘরে বাইরে দু ক্ষেত্রেই ফিটফাট থাকতে ভালবাসেন, কারও কারও ক্ষেত্রে আবার ব্যাপারটা উলটো। ঘরে থাকার সময় ঢিলেঢালা পোশাকে থাকতেই ভাল লাগে অনেকের। পুরুষদের ক্ষেত্রে লুঙ্গি আর মেয়েদের ক্ষেত্রে নাইটি, এমন পোশাকগুলির জনপ্রিয়তা তাই চোখে পড়ার মতোই। এমনকি সেই পোশাকেই কাছেপিঠে বেরিয়েও পড়েন অনেকেই। কিন্তু তার উপরেই এবার কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করল এক আবাসন কর্তৃপক্ষ। আবাসিকদের পোশাক নিয়ে রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তারা। আর সেই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অন্য কেউ কেন পোশাকবিধি চাপিয়ে দেবে, তা নিয়ে বেজায় চটেছেন বাসিন্দাদের একাংশ।
কী ঘটেছে ঠিক?
আরও শুনুন: খাবার টেবিলে শুয়ে নগ্ন নারী, শরীরে বিছানো খাবার… জন্মদিনের পার্টিতে চমক তারকার
আসলে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজধানী দিল্লি সংলগ্ন গ্রেটার নয়ডার এক আবাসন কর্তৃপক্ষ। সেক্টর ফি২-র হিমসাগর অ্যাপার্টমেন্টের আবাসিকদের সংগঠন ওই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সেখানে আবাসিকদের বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে ফ্ল্যাটের বাইরে লুঙ্গি এবং নাইটির মতো ঢিলেঢালা পোশাক পরার ব্যাপারে। না, ঠিক পোশাকবিধি জারি করা হয়েছে এমন নয়। বলা হয়েছে, ঘরোয়া ঢিলেঢালা পোশাকে ঘরেই থাকা ভাল। কিন্তু সেই পোশাক পরে কেউ যেন জনসমক্ষে না আসেন। বা সাধারণের ব্যবহারের এলাকায় যেন সেই পোশাকে ঘোরাফেরা না করেন আবাসনের বাসিন্দারা। বিজ্ঞপ্তিতে সাফ জানানো হয়েছে, আবাসনের বাসিন্দারা যখন আবাসন চত্বরের সাধারণের ব্যবহারের এলাকায় ঘোরাফেরা করবেন, তখন নিজেদের পোশাক-আশাক এবং আচার-আচরণের দিকে যেন তাঁরা বিশেষ নজর দেন। যাতে এ নিয়ে কারও কোনওরকম আপত্তি করার সুযোগ না থাকে, সেই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে আবাসিকদেরই। কর্তৃপক্ষের তরফে আবাসিকদের কাছে আরজি জানানো হয়েছে, “আবাসন চত্বরে লুঙ্গি বা নাইটি জাতীয় পোশাক পরে চলে আসবেন না। এগুলি ঘরের ভিতরে পরার পোশাক।”
আরও শুনুন: কবরস্থানে বসেই চা পান! অদ্ভুত রেস্তরাঁ রমরমিয়ে চলছে গুজরাটে
আসলে এই ইস্যুতেই কিছুদিন ধরে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ছিল বলে জানিয়েছেন আবাসন কর্তৃপক্ষ। কিছু মহিলা আবাসিকের অভিযোগ ছিল, আবাসনের এক প্রবীণ বাসিন্দা লুঙ্গি পরে আবাসন চত্বরে ব্যায়াম করছিলেন, যা দৃষ্টিকটু বলে মনে হয়েছে তাঁদের। জাতীয় স্তরের এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনের সভাপতি সিকে কালরা জানিয়েছেন, প্রথমে মৌখিক ভাবেই সমস্যার কথা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। আর সেই কারণেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন বাসিন্দাদের একাংশ। কিন্তু আরেক অংশের আবার অভিযোগ, এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে আবাসিকদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে তাই পোশাকবিধির বিজ্ঞপ্তি নিয়ে উসকে উঠেছে বিতর্ক।