রাজ্যের কোনও মন্দির মহড়া চালাতে পারবে না আরএসএস। সম্প্রতি এমনই ফতোয়া জারি হয়েছে কেরলে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। নেপথ্যে ঠিক কারণ? আসুন শুনে নিই।
কেরালার মন্দিরে নিষিদ্ধ আরএসএস-এর মহড়া। সম্প্রতি এমনই নিয়ম জারি করেছে ত্রিবাঙ্কুর দেবস্বম বোর্ড। এই মুহূর্তে দক্ষিণ ভারতের প্রায় ১২০০টি মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে এই সংস্থা। যার মধ্যে কেরলের অধিকাংশ মন্দির রয়েছে। সংস্থার তরফে সাফ জানানো হয়েছে, মন্দির চত্বরে কেবলমাত্র ধর্মীয় উৎসব পালন হবে, অন্য কিছু নয়।
আরও শুনুন: মাতৃগর্ভেই শিশুকে শোনাতে হবে গীতা-রামায়ণ, ‘গর্ভ সংস্কার’ প্রকল্প শুরু আরএসএস-এর শাখার
ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকা কেরলের মন্দিরগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে জানানো হয়েছে, নিয়ম ঠিকমতো না মানলে নির্দিষ্ট মন্দিরের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংস্থার পর্যবেক্ষণ, আরএসএস-এর মতো দলগুলি নিজেদের কর্মসূচির জন্য মন্দির চত্বর ব্যবহার করে। বিশেষত কোনও মহড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় কোনও বিখ্যাত মন্দিরকেই বেছে নেওয়া হয়। এতেই ঘোর আপত্তি ত্রিবাঙ্কুর দেবস্বম বোর্ড-এর। তাঁদের সমর্থন জানিয়েছে সে রাজ্যের সরকারও। সেইসঙ্গে আরও যোগ হয়েছে কিছু নতুন অভিযোগ। অনেকেরই দাবি, কিছু কিছু মন্দিরে নিয়মিত ব্যয়াম করতে হাজির হন আরএসএস কর্মীরা। অনেক সময় তাঁদের সঙ্গে অস্ত্রও থাকে। নির্দেশিকা জারি করে সেই সমস্ত কিছুই বন্ধ করতে বলেছে এই মন্দির পরিচালনা বোর্ড। মন্দির চত্বরে শুধুমাত্র কোনও ধর্মীয় উৎসব হবে। আর কিছু নয়। তবে শুধুমাত্র আরএসএস নয়। অন্য কোনও সংস্থাও নিজেদের প্রয়োজনে মন্দির চত্বর ব্যবহারের সুযোগ পাবে না। এমনকি কোনও রাজনৈতিক দলও মন্দির চত্বরে মিটিং করতে পারবে না। একথাও সাফ জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। যদিও এর আগে একইরকম নির্দেশিকা জারি হয়েছিল। তবে তা পালন করা সম্ভব হয়নি। তাই নতুন করে সরকারের সাহায্যে এই ফতোয়া জারি করেছে দেবস্বামী বোর্ড। সংস্থার দাবি এবার যথেষ্ট কড়াভাবে এই নিয়ম পালন করা হবে। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই এই নিয়ম নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে আরএসএস-এর তরফে এর পালটা কোনও দাবি এখনও করা হয়নি।