কোভিড চিকিৎসায় অতিরিক্ত বিল করেছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি, এমন অভিযোগ উঠেছে বারবারই। কিন্তু সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবে না সরকার। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্তেই সায় দিল গুজরাট। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
কোভিডকালে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি রোগীর ভিড় উপচে পড়েছিল বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও। সেই সময়ে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছিল, রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বেশি অর্থ আদায় করছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। সেই ইস্যুতেই দায়ের করা এক মামলার শুনানিতে বলা হয়েছে, এই অভিযোগে বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবে না গুজরাট সরকার। সম্প্রতি এমনই রায় শোনাল গুজরাটের গান্ধীনগরের কনজিউমার কোর্ট।
আরও শুনুন: বক্সঅফিসে সাফল্য না পেলে ভাল অজুহাত, বলিউডের ‘বয়কট’ ট্রেন্ড নিয়ে বক্তব্য শাহরুখের
কোভিডের প্রথম তরঙ্গের সময় থেকেই সরকারি হাসপাতালগুলিতে শয্যা বাড়ানোর কাজ শুরু হয়। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে শয্যার চাহিদা আরও বাড়তে থাকে। তখন বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কাজে লাগাতে হয় সরকারকে। সেই সময় বেসরকারি হাসপাতালের পরিষেবার বর্ধিত মূল্যে লাগাম পরাতে নির্দেশিকাও জারি করেছিল কোনও কোনও রাজ্য। এমনকি বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্য করোনা টিকারও সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু তারপরেও একাধিক হাসপাতাল বিভিন্ন পরিষেবার অজুহাতে বিলে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে রোগীদের পরিবারের তরফে। বিশেষ করে মেডিক্যাল ইনশিওরেন্সের বিষয় নিয়ে বিতর্ক ঘনিয়েছে অনেক সময়েই। এদিকে প্রায় দুবছর ধরে কোভিড পরিস্থিতির জেরে দেশের আর্থিক অবস্থা খানিক টালমাটাল। কাজ হারিয়েছেন অনেক মানুষই। এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি হাসপাতালের বর্ধিত বিল হাতে পেয়ে সংকটে পড়েছেন অনেকেই।
আরও শুনুন: কোলে একরত্তিকে নিয়েই রিকশা চালাচ্ছেন বাবা, ভিডিও দেখে আবেগে ভাসল নেটদুনিয়া
জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য বিমা সংস্থার কাছে বিলের টাকা দাবি করেই মামলা রুজু করেছিলেন মিলন শাহ নামের এক ৫৬ বছর বয়সি ব্যক্তি। ২০২০ সালে কোভিড আক্রান্ত হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে এক সপ্তাহ ভরতি ছিলেন তিনি। মোট বিল দাঁড়িয়েছিল ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। তার মধ্যে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকাকে অতিরিক্ত খরচ বলে চিহ্নিত করে যে টাকা মেটাতে রাজি হয়নি সংস্থাটি। সংস্থার দাবি, মহামারী আইন অনুযায়ী রাজ্য এবং কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সীমা অমান্য করেই পরিষেবার জন্য অতিরিক্ত অর্থ দাবি করেছে হাসপাতালটি। ওই মামলাকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে বাকি টাকা দেওয়ার জন্য সংস্থাটিকে নির্দেশ দিয়েছে গুজরাটের কনজিউমার কোর্টটি। তবে এই ইস্যুতে যে সরকারের তরফ থেকে বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছে ওই আদালত।