কোনও বাবা-ই আর তাঁর ছেলের নাম নীতীশ রাখবেন না। দলবদল নিয়ে নীতীশ কুমারকে বেনজির কটাক্ষ পুরনো জোটসঙ্গী আরজেডি-র এক নেতার। শুনে নেওয়া যাক।
দেশের বর্তমান রাজনীতির যা প্রবণতা, সেখানে জোট বদলানো আর নতুন কথা নয়। তবে সেই পরিস্থিতিতেও বারবার এবং আকস্মিকভাবে জোট বদলে চমকে দিয়েছেন নীতীশ কুমার। তাঁর দলবদলের ইতিহাসে সর্বশেষ সংযোজনটি ঘটেছে সম্প্রতিই। আরজেডি-কে ছেড়ে বিজেপির হাত ধরে নবমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসেছেন নীতীশ। এই চমকের জন্য কেবল আরজেডি-ই নয়, ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য শরিকেরাও তাঁকে বিঁধতে ছাড়েননি। সেই রেশ ধরেই এবার কটাক্ষ শানালেন পুরনো জোটসঙ্গী আরজেডি-র এক নেতা। বললেন, কোনও বাবা-ই আর তাঁর ছেলের নাম নীতীশ রাখবেন না।
আরও শুনুন: রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিনেই জন্ম, রামরহিম নামেই সন্তানকে ডাকবেন মুসলিম মহিলা
সত্যি বলতে, নীতীশের নীতি কিংবা রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবারই। তাঁর ন’বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার মধ্যে রয়ে গিয়েছে পাঁচ-পাঁচ বারের দলবদলের বৃত্তান্ত। তিনি কোনও বারের সরকারই একার জোরে গড়েননি, একার জোরে লড়েননি। বিজেপি এবং আরজেডি, দুই দিকে তাঁর দুই প্রধান জোটসঙ্গীকে ইচ্ছেমতো তিনি ধরেছেন ও সরিয়ে দিয়েছেন। ২০০৫ সালে বিজেপির হাত ধরেই প্রথম বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। মাঝে ধরেছিলেন অতীতের প্রধান প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রীয় জনতা দল তথা আরজেডি-র হাত। এবার আরও একবার চার বছর আগের ছেড়ে-আসা সঙ্গী এনডিএ-র সঙ্গে পুনর্মিলন ঘটল তাঁর। এর আগে যতবার নীতীশ জোটের হাত ছেড়েছেন, ততবারই দোহাই দিয়েছেন ‘নীতি’-র। অভিযোগ করেছেন, ‘নীতি’-র সঙ্গে মিল হয়নি বলেই দল ছেড়েছেন তিনি। এবারও তাঁর গলায় শোনা গিয়েছে সেই একই সুর।
আরও শুনুন: ‘জয় শ্রী রাম’ বলেই অধ্যাপকের পা ছুঁয়ে প্রণাম, ব্রিটেনে ভারতীয় পড়ুয়ার কাণ্ডে শোরগোল
আর এই প্রবণতাকে টেনেই আরজেডি নেতা ভাই বীরেন্দ্র বেনজির খোঁচা দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর বক্তব্য, কোনও বাবা-ই চান না যে তাঁর ছেলে নীতি বা আদর্শহীন হোক। তাই ভবিষ্যতে আর কেউই তাঁর সন্তানের নাম নীতীশ রাখতে চাইবেন না, এমনটাই মনে করছেন ওই নেতা। যদিও জোটসঙ্গীরা কে কী বলছেন, তা নিয়ে আগের মতো এবারেও গুরুত্ব দিতে দেখা যাচ্ছে না জেডিইউ সুপ্রিমোকে। বরং বিজেপির হাত ধরে ক্ষমতায় ফিরে নিজের জমি শক্ত করাতেই মন দিয়েছেন নীতীশ কুমার।